আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যে সাতজন যুদ্ধাপরাধীর সাজা হয়েছে, তাঁরা শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী। তাঁদের তুল্য যুদ্ধাপরাধী আওয়ামী লীগে নেই।
আজ দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে রুরাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন (আরজেএফ) আয়োজিত এক নাগরিক সংলাপে কামরুল এসব কথা বলেন।
কামরুল ইসলাম বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধী অভিযোগে যে সাতজনের সাজা হয়েছে, তাঁদের কারোর বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিচার করা হয়নি। তাঁরা প্রকৃত অপরাধী বলেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
’ তিনি আরও বলেন, ‘অনেকে আমাকে প্রশ্ন করেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে যেসব যুদ্ধাপরাধী আছেন, তাঁদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না কেন। আমি বলি, এই সাতজনের মতো শীর্ষ কোনো অপরাধী আওয়ামী লীগে নেই। থাকলে আপনারা দেখিয়ে দেন। কালকেই তাঁদের গ্রেপ্তার করে বিচার শুরু করা হবে। ’
ট্রাইব্যুনাল থেকে নথি ফাঁস হওয়া প্রসঙ্গে আইন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রায় প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য অনেক চেষ্টা হয়েছিল।
কিন্তু তাঁরা পারেননি, পারবেনও না। যাঁরা রায় প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছেন, তাঁদেরও ধরা হবে। ’
কামরুল বলেন, পৃথিবীর সব দেশে যেভাবে যে পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবে হবে। তিনি ‘ভোট ডাকাতির নির্বাচন’ করবেন না বলেও প্রতিশ্রুতি দেন। সংকট নিরসনে সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
কামরুল বলেন, ‘আগামী দিনে একাত্তরের চেয়ে ভয়াবহ সময় আসছে। আমরা যদি সজাগ না থাকি, তবে বিএনপি আইএসআইয়ের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী দেশকে তালেবান ও পাকিস্তান বানাবে। ’
২৫ অক্টোবরের পর খালেদা জিয়ার কথায় দেশ চলবে, বিরোধীদলীয় নেতাদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে কামরুল বলেন, সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা আছে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। নির্বাচনের সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই দেশ পরিচালনা করবেন। বিরোধী দলের নেতাদের ‘বন্ধু’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, তাঁরা সংবিধানের ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন।
আরজেএফের সভাপতি এস এম জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।