শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক নাগরিক সংলাপে তিনি এই আহ্বান জানান।
রুরাল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি সংগঠন ‘সংসদ বর্জন: জাতীয় উন্নয়নের অন্তরায়’ শীর্ষক এই সংলাপের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে কামরুল ইসলাম বলেন, ২৫ অক্টোবরের পর নাকি খালেদা জিয়ার নির্দেশে দেশ চলবে। তাহলে এটা কীভাবে সম্ভব? তারা ভাবছে, ২৫ অক্টোবরের পর আওয়ামী লীগ নাই হয়ে যাবে। সংবিধানে আছে, পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতা না নেয়া পর্যন্ত বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় থাকবেন।
তারা সংবিধান পড়েও না, দেখেও না।
ফাইল ছবি “অনির্বাচিত শক্তিকে ক্ষমতায় আনার রাস্তা যাতে কেউ করতে না পারে- সেজন্য ঐক্যবদ্ধ হোন। সামনে ৭১’র চেয়েও কঠিন অবস্থা। এই অবস্থায় সবাই সজাগ না থাকলে তারা দেশকে তালেবানি রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করবে। ”
ফাইল ছবি
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইন্ধিরা গান্ধী নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকা অবস্থায় তিনি নিজেই পরাজিত হয়েছিলেন।
অনেকে বলে তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া আমাদের এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। কেন হবে না, যুক্তি কী? এ সব বলে অন্য কিছুকে জায়েজ করার চেষ্টা করবেন না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হবে। গ্রহণযোগ্য হবে।
ভোট ডাকাতির নির্বাচন আমরা করবো না। গ্যারান্টি দিচ্ছি।
“নির্বাচনকালীন সরকারের শেয়ার চাইলে আলোচনা করতে পারেন। নির্বাচন কমিশনকে কীভাবে শক্তিশালী করা যায়, কীভাবে সরকারের ক্ষমতাকে কম রাখা যায়- সে সব বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। ”
কামরুল ইসলাম বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকলেতো খায়রুল হক এর প্রধান হতেন।
তারা কী সেটা মানতেন? সুতরাং অযৌক্তিক দাবি করার কোন মানে হয় না। এখন ২৭ টেলিভিশন রয়েছে। এতগুলো টেলিভিশন ক্যামেরার চোখ এড়িয়ে কীভাবে আগের মত নির্বাচন করবেন?
“সংবিধান অনুসারে প্রধানমন্ত্রীই হবেন নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান। আপনি ক্ষমতায় আসলে সেটা আপনার জন্য প্রযোজ্য হবে। ”
আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান এসএম জহিরুল ইসলাম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।