মাথায় অনেক গল্প আসে; কিন্তু লেখার মত পর্যাপ্ত ধৈর্য-শ্রম-অধ্যবসায় নেই। গল্পগুলোকে তাই ছোট করে কবিতা বানাই...
(আমাদের আশ্চর্য-আশ্বিনের গল্প; আমাদের তারা-ভরা-রাতের গান)
আমাদের গল্পটা অভিমানে ভরা তবে আশ্বিনে মিটমাট হয়ে যায়
নীল-রোদে কোনও এক অবুঝ অচেনা পাখি খুঁজে পায় তার গন্তব্য
বাতাস চমকে উঠে বুঝে ফেলে, ফুলগুলো পরাগায়নের তরে উদ্বেল
পৃথিবীর আরও কিছু সমাধান গতি পায় - কিন্তু তা বুঝে ফেলা দুস্কর।
আমাদের কবিতা বা আমাদের গানগুলো এইসব জানত না নিশ্চয়ই:
এই নিয়ে জোনাকের ব্যস্ততা দেখে তুমি চট করে হেসে ফেলো; তারপর
বিস্মিত জোনাকিরা সমালোচনায় মেতে রাগ করে চলে যায় বহুদূর।
কৌতূহলের বশে গল্প দেখতে এসে কৌতুকে মজে যায় ঈশ্বর !
কাঁচপোকাদের ঘরে ঝঞ্ঝাট লেগে থাকে বারোমাস - তাই সেটা তুচ্ছ।
নিষ্পাপ নীলাকাশে চিলের ডানার পাশে উড়ে চলে নির্ভার আশ্বিন
নরম রোদের পরে নরম জোছনা এসে পৃথিবীকে ঢেকে দেয় আদরে;
আমার দুচোখে আমি 'ইচ্ছে' আঁকতে বসি - এবং তোমার চোখে 'স্বপ্ন'।
এরপর একদিন হঠাৎ আকাশপটে কার যেন স্মৃতিময় আলোড়ন -
পূবের পাহাড় থেকে দক্ষিণ বন্দর - বিদ্যুতে কেঁপে ওঠে পুনরায় !
'বৃষ্টি এসেছো তুমি? আবার এসেছো তুমি !'- উল্লাসে কেঁদে ফেলে ছত্রাক,
ধানের পাতার পাশে হাঁসগুলো উচ্ছ্বাসে বিলের নরম জলে ডুব দেয়।
বৃষ্টি এসেছে তার বিপুল শক্তি নিয়ে - বান ডাকে সকরুণ বাঙলায়।
লক্ষী, এমনতর গল্পে তোমার চোখে বিপন্নবোধ আমি চাই না;
বন্যা এ পৃথিবী'র সম্ভাবনার গান; বন্যা এ প্রকৃতির নীল ঘুম:
অবিকল যেইভাবে আমাদের দুই চোখে প্রগাঢ়তা নিয়ে আসে আশ্বিন।
ছুটে-চলা দিশেহারা প্রিয় নীল জলধারা, আমার গানটা তুমি বুঝে নাও,
তোমার স্রোতেই আমি ভাসিয়ে দিলাম তাকে - নীল তারা অভিজিৎ সাক্ষী;
চিরকাল বান-ভাসি শরতে ভাসিয়ে নিও শাহেদের প্রার্থনা-সঙ্গীত?
চিরকাল দ্রবীভূত করে রেখো আমাদের স্নিগ্ধ এ মায়াবিনী বাঙলায়...
এর আগে প্রকাশিত এই কাব্যের আরও দু'টি অংশ:
শ্রাবণ
অগ্রহায়ণ
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।