ভারতের সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর প্রধান সুভাষ যোশীকে উদ্ধৃত করে সে দেশের প্রভাবশালী দৈনিক দি হিন্দু রোববার এই খবর দিয়েছে।
তিনি ভারতের সরকারি সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, সীমান্তে হতাহতের ঘটনা কমাতে বিএসএফের নেয়া পদক্ষেপ এবং এর বিপরীতে অবৈধ অনুপ্রবেশ, চোরাচালানির মতো বেআইনি ঘটনার প্রবণতা দেখাতে ওই প্রস্তাব দেয়া হয়।
গত মাসে ঢাকায় প্রতিবেশী দুই দেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক হয়। এতে অংশ নিতে সুভাষ যোশী ঢাকায় এসেছিলেন।
ওই বৈঠকে সীমান্তে হতাহতের ঘটনা শূন্যে নামিয়ে আনতে বিজিবির পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়।
অন্যদিকে বিএসএফের পক্ষ থেকে চোরাচালানের বিষয়টি তুলে ধরা হয়।
বিএসএফ প্রধান সুভাষ যোশী বলেন, “বিএসএফ সদস্যদের সঙ্গে ভারতীয় অংশ অবস্থান করে প্রকৃত অবস্থাটি দেখতে বিজিবিকে প্রস্তাব দেয়া হয়।
“সেখানে আমাদের লুকানোর কিছু নেই। অবৈধ অনুপ্রবেশ ও রাতের বিভিন্ন ঘটনা আমাদের জন্য সত্যিই একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবুও আমরা সীমান্ত এলাকায় আমাদের ভূমিকার স্বচ্ছতা বজায় রাখতে চাই।
আর সে কারণেই এ ধরনের প্রস্তাব। ”
বিজিবি-বিএসএফ বৈঠকে সীমান্তে হতাহতের সংখ্যা কমাতে এবং আরো হাল্কা অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহারের বিষয়েও আলোচনা হয়।
সুভাষ যোশী বলেন, “প্রাণঘাতী নয়- এমন অস্ত্র দিয়ে আমাদের বাহিনীর সদস্যদের কাজে পাঠানোর সিদ্ধান্ত আসলেই কঠিন। ইতোপূর্বে তারা বহুবার আক্রমণের শিকার হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ৩০ জনেরও বেশি বিএসএফ আহত হওয়ার মতো ঘটনা সীমান্তে ঘটেছে।
”
“তবুও আমরা বাংলাদেশ সীমান্তে হতাহতের ঘটনা কমাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সে লক্ষ্যে ওই ধরনের (হাল্কা) অস্ত্রও পাঠানো শুরু হয়েছে। ”
বিএসএফের নতুন পদক্ষেপের ফলে সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্তে হতাহতের সংখ্যা কমে আসার তথ্য তুলে ধরেন তিনি।
“তিন বছর আগে যেখানে সীমান্তে বছরে ১৫০ বাংলাদেশি নিহত হওয়ার রেকর্ড ছিল, গত বছর তা কমে ২২ জনে দাঁড়িয়েছে। চলতি বছরে সীমান্ত ও ভারতীয় অংশ মিলিয়ে মাত্র সাতজন মারা গেছে।
”
এগুলো সীমান্ত নিয়ে ভারতের প্রতিশ্রুতি, সমস্যার আশু সমাধানমূলক পদক্ষেপেরই প্রমাণ বলে দাবি করেন বিএসএফ প্রধান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।