আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জলপাতি ও বনপাতি চাষে আগ্রহ বাড়ছে নওগাঁর কৃষকদের

নওগাঁর রানীনগর উপজেলার কৃষকদের মাদুর শিল্পের কাঁচামাল জলপাতির পাশাপাশি বনপাতি চাষে আগ্রহ বাড়ছে। প্রতি বিঘা জমিতে পাতি চাষ করে অধিক পরিমান লাভ হওয়ায় পাতি চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। পাতি চাষের পাশাপাশি কৃষানী মা ও ঝিয়েরা ঘরে ঘরে মাদুর তৈরির কুটির শিল্প গড়ে তুলেছেন।

উপজেলা কৃষি সমপ্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাহাদুরপুর, ত্রিমোহনী, হরিশপুর, কাশিমপুর, ঘোষগ্রাম, বড়গাছা, পারইল, মিরাট, গোনা, খট্টেশ্বর, বালুভরা, দাউদপুর, রাজাপুর, সিম্বা, লোহাচুড়া, খাগড়া, বেলঘরিয়া, করজগ্রামসহ বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা পাতি চাষ করে থাকেন। এসব এলাকার মানুষ সাধারনত দুই ধরনের পাতি চাষ করে থাকেন।

তা হলো জলপাতি ও বনপাতি।

খট্টেশ্বর গ্রামের প্রবীন পাতি চাষী আসগর আলী প্রামানিক জানান, জলপাতির চাষ অনেক আগে থেকেই করা হয়। এই এলাকায় বনপাতির চাষ শুরু হয়েছে আজ থেকে প্রায় ২০ বছর পূর্বে। বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার পর পরই অগ্রহায়ন-পৌষ মাসে কৃষকরা তাদের জমিতে পাতির চারা রোপনের কাজ শুরু করে থাকেন।

করজ গ্রামের দিলীপ চন্দ্র বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, প্রতি এক বিঘা জমি থেকে প্রতি বছর ৭০ থেকে ৮০ অাঁটি পাতি উত্পাদিত হয়।

বাজারে প্রতি আঁটি পাতি বিক্রি হয় ৭শ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা। সে হিসাবে প্রতি বছর এক বিঘা জমি থেকে পাতি বিক্রি করে কমপক্ষে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা লাভ হয়। আর প্রতি বিঘায় খরচ হয় ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা মাত্র। সে হিসাবে পাতি চাষ অনেক লাভজনক। জলপাতি একবার রোপন করলে তিনবার পাতি কাটা চলে।

আর বনপাতি একবার রোপন করলে এবং ভাল পরিচর্যা করলে ৪/৫ বছর ধরে পাতি কাটা চলে।

উপজেলা কৃষি অফিসার অহেদুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, চলতি বছর উপজেলায় প্রায় ৮০ হেক্টর জমিতে জলপাতি ও বনপাতির চাষ হয়েছে। পাতি চাষ খুবই লাভজনক একটি ফসল। ফলে দিন দিন পাতির চাষ বেড়েই চলেছে।



সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.