আপাতত ঘুরপাক খাচ্ছি!
১। অপ্রয়োজনীয়
ফুল নিয়ে তুমি বিস্তর গবেষণা করছো বোধয়
আমার পাঠানো ফুলগুলি তাই লাজে আনত
তোমার জন্য তিনশ তেত্রিশখানা ডালা সাজিয়েছি
সব ফুল যাবে তোমার অন্দরমহলে
তুমি গবেষণায় বিরতি দিয়ে
তোমার বাড়ীর সদর দরজা হাট করে খুলে রেখো
আমি যথা সময়ে সব ডালা হাজির করবো।
তোমার প্রয়োজনের তরে অক্লান্ত শ্রম দিয়ে যাচ্ছি
সেটার মূল্যায়ন না করে তুমি আছো শুধু ফুল নিয়ে
এদিকে আমার বাগান খালি হয়ে এলো
তুমি গবেষণা রেখে একটু এদিকে চোখ তুলে চাইবে?
ঘরদোর না সাজিয়ে বসে আছো কেন
সাজাও তোমার ঘরদোর পরিপাটি করে এই ভরদুপুরে
আমি দূর থেকে দেখি আর ভাবী কি করে এত সহজে
ঐ মানুষটার কাছে ফুলের চেয়ে অপ্রয়োজনীয় হয়ে গেলাম।
২। তোমার চোখ জুড়ে
তার উপেক্ষায় পুরে যাও বারবার
প্রতীক্ষায় এক একটি রাত্রী সাবার
উজান নদীর ঢল
ধু-ধু বালুচর
বাড়তে বাড়তে
তটরেখা উপচায়
তোমার অপেক্ষা
ফুরোয় না।
ক্লান্তি অবসাদে
চায়ের চুমুখে
পেয়ালা উছলায়
ঠোট পুরে বারবার।
তোমার রাত আসে
তো দিন আসেনা
চোখ ভরা জল
বুক ভরা বালি
সাজ বেলাতে
মন মন্দিরে
জ্বলেনা দীপালি
তোমার চোখ জুড়ে
বেদনার কালি।
৩। ঊনপঞ্চাশে বায়ু
আমার কোন গল্পই নেই। আবার বলি আছে।
গল্পের কথা বলতে গেলে পুরনো হারমোনিকা বাজে। আমার কোন গল্পই নেই। শোনাবো কি। ভেবেই পাইনে। সাত সকালে উঠি।
দাঁত মাজি। আয়নায় কাত হয়ে ফিটফাট বাবু সাজি। আফিসে দৌঁড়াই। ফিরে আসি ঘামের জলে স্নান করে। ছুটির দিনে দাঁতের তলে মুড়ি চিবাই।
রিমোট ঘুরাই। টিভি দেখি। অথবা সময় পার করি। ভূরির ভাঁজে চর্বির পরত গুনি। রাত ভারী হয়।
আয়নায় চোখ বুলাই। চোখের কোলে বয়সের ছাপ মাপি। আটপৌরে জীবনের খাটে বন্দী হয়ে ঘুমিয়ে পরি। বয়সের সাথে নেই কোন সন্ধি। মাঘের শীতে বাঘ কাঁদে।
আমি কাঁদি রাতের কোলে। মৃত্যুর ছলে। ঘুমের তলে। জেগে উঠি প্রতিদিন জীয়নকাঠির পরশে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।