মঙ্গলবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে মার্শাল বলেন, “প্রথম টেস্ট খেলা হবে স্বপ্ন পূরণের মতো একটা ব্যাপার। স্বাভাবিকভাবেই আমি রোমাঞ্চিত। ”
বাংলাদেশের অধিনায়ক মুশফিকের কথায়ও মার্শালের অভিষেকের ইঙ্গিত। শুরু থেকেই স্বাগতিক দল আভাস দিয়ে আসছে মার্শাল, নাঈম ইসলাম ও মমিনুল হকের যে কোনো দুই জন খেলবে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে বড় দৈর্ঘ্যর ক্রিকেটে এ পর্যন্ত ছয়টি শতক হাঁকিয়েছেন মার্শাল।
শেষ শতকটি আসে খুলনায় একটি প্রস্তুতি ম্যাচে। ঐ ম্যাচের ১৫৬ রানের ঝকঝকে ইনিংস তার টেস্ট অভিষেকের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করে তোলে।
২০০৬/০৭ মৌসুমে এই মাঠেই চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে ঢাকা বিভাগের হয়ে ৪২০ রানের রেকর্ড জুটি গড়েছিলেন মার্শাল। সেই জুটিতে তার সঙ্গী মোহাম্মদ আশরাফুলের জায়গায়ই অভিষেক হতে পারে তার।
মার্শাল বলেন, “এটা আমার অন্যতম প্রিয় মাঠ।
এই মাঠেই আশরাফুল ভাইয়ের সঙ্গে ৪২০ রানের জুটি গড়েছিলাম। সেই ম্যাচে খেলা ১৮২ রানের ইনিংসটি আমার অন্যতম পছন্দের।
গত মার্চে শ্রীলঙ্কা সফরে টেস্ট দলে ছিলেন মার্শাল। কিন্তু কোনো ম্যাচ না খেলেই সেবার ফিরতে হয় তাকে।
উইকেটে একবার থিতু হতে পারলে বড় ইনিংস খেলাতে অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন মার্শাল।
এটাই তাকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রেখেছে। ৬২টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলে ৭টি শতকসহ ৩৬.৯৭ গড়ে ৩৪০২ রান করেছেন তিনি। সর্বোচ্চ ২৮৯।
মার্শালের ব্যাটিং দর্শন বেশ সরল, উইকেটে থাকো, রান আসবেই। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সুযোগ পেলে এটাই করে দেখানোর লক্ষ্য মার্শালের।
নিউ জিল্যান্ডের বাঁহাতি পেসারদের সামলানো সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “ওদের ফুটেজ দেখে প্রস্তুতি নিয়েছি। আশাকরি কোনো সমস্যা হবে না। আমি কোনো চাপ নিতে চাই না। স্বাভাবিক ব্যাটিং করতে চাই। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।