প্রতিটি রাতে স্বপ্ন দেখি একদিন সব আমারই হবে, আজ না হলেও কাল তো ঠিকই
যে কন্ঠটি আমাদের সবসময় সহযোগীতা এবং নির্দেশনা দিয়ে থাকে তার পেছনে আসলে কার অবদান। আমরা কার কন্ঠের সাথে কথা বলি? আমরা ইতিমধ্যেই জানি, সিরি একটি পারসোনাল এসিসটেন্ট তবে এটি সাধারন গৎবাধা উত্তর বা সাহায্য করে থাকে না। বরং এটি হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স যাকে একজন মানুষের মতো করেই কন্ট্রোল করা যায়। তার উত্তরও হয় সহজাত এবং সপ্রতিভ। উত্তর শুনলে কখনো মনে হবে না এটি কম্পিউটার জেনারেটেড একটি ভয়েস।
যা হোক, মূল কথায় আসি। এই সিরি তে আমরা যে কন্ঠ শুনি বা যার সাথে কথা বলি তার পেছনের মানুষটি হলো সুসান বেনেট । আমরা যারা ইউএস ষ্টোরে আইটিউনস একাউন্ট খুলেছি তারা সবসময় সুসানের কণ্ঠই শুনি।
তিনি সম্প্রতি সিএনএনের সাথে সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছেন তিনিই সিরি'র পেছনের মানুষ। তিনি মূলত একজন ভয়েস ওভার আর্টিষ্ট।
সিরি তে প্রথম কন্ঠ দেন ২০০৫ সালে। তখন পর্যন্ত অবশ্য এ্যাপল এটি প্যাটেন্ট এর জন্যও আবেদন করেনি। সিরি'র প্রথম আর্বিভাব ২০১১ সালের অক্টোবরে তাদের ৪এস ডিভাইসটির মাধ্যমে।
তবে তার ইউকে'র কাউন্টারপার্ট পুরুষ কন্ঠটি দেয়া জন ব্রিগস নামে এক ব্রিটিশ প্রযুক্তি সাংবাদিকের। বর্তমানে সিরি ৯টি ভাষায় কথা বলতে পারে।
একটি মজার তথ্য দিয়ে পোষ্টটি শেষ করছি: "সিরি" শব্দটি নরওয়ের ভাষা থেকে নেয়া যার আভিধানিক অর্থ হচ্ছে "রুপবতী একটি মেয়ে যে তোমাকে জয়ের দারপ্রান্তে নিয়ে যাবে"। আর সিরি সফটওয়্যারের নির্মাতার প্রথম সন্তানের নাম থেকেই সিরির নামকরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে সিরি কে এ্যাপল কিনে নিলেও নামটি অপরিবর্তিত রাখে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।