আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নির্বাচনী দৌড়ে এগিয়ে দুর্জয়-সুজন

মাত্র ২৪ ঘণ্টা পর বিসিবির নির্বাচন। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এটা পঞ্চম নির্বাচন বিসিবির। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় এখন মোচে তা দিয়ে বেড়াচ্ছেন ১৯ পরিচালক। কিন্তু ঘুম হারাম হওয়ার অবস্থা ক্যাটাগরি 'এ'র ঢাকা বিভাগের তিনজন এবং ক্যাটাগরি 'সি'র দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর। ঢাকা বিভাগে নির্বাচন করছেন বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয় এবং ক্যাটাগরি 'সি'তে নির্বাচন করছেন খালেদ মাহমুদ সুজন ও গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।

গত পরশু ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন। ঢাকা বিভাগের দুই পরিচালকের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন চারজন। এর মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন টাঙ্গাইল জেলার কাউন্সিলর। কিন্তু প্রত্যাহার করেননি জামালপুরের কাউন্সিলর মির্জা জিল্লুর। অবশ্য তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিতে চেয়েছিলেন।

কিন্তু সময়ের অভাবে করতে পারেননি বলে ক্রিকেটপাড়ায় শোনা যাচ্ছে। জামালপুর জেলার কাউন্সিলর নির্বাচন করলেও ঢাকা বিভাগ থেকে পরিচালক নির্বাচিত হওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক দুর্জয়ের। কেননা তার ক্ষুরধার মস্তিষ্কের সঙ্গে অপর দুই প্রার্থীর পার্থক্য রয়েছে ব্যাপক। যদিও একজন ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে মঞ্জুর কাদেরের পরিচিতি ব্যাপক। ক্রিকেট বিশ্লেষকরা মনে করছেন ঢাকা বিভাগে লড়াই হবে একপেশে।

এখানে দুর্জয় সবচেয়ে বেশি ভোট পাবেন বলেও মনে করছেন নির্বাচিত অনেক পরিচালক। কেননা দুর্জয়ের রয়েছে দেশ ও দেশের বাইরে ব্যাপক পরিচিতি।

জমজমাট লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ক্যাটাগরি 'সি'তে। অবশ্য এখানে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছেন ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে অবিস্মরণীয় জয়ের নায়ক সুজন। ক্রিকেটার এবং বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার সমর্থন সুজনের পক্ষে বলেও শোনা যাচ্ছে।

নির্বাচনে প্রতিপক্ষ দুই প্রার্থীর সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রাচ্যের অঙ্ফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিলর শওকত হোসেন চিনু সমালোচনা করেন লিপুর, 'আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় খেলাগুলো হচ্ছে না গত কয়েক বছর। আমরা খেলার জন্য গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর সঙ্গে অনেকবার যোগাযোগ করেছি। কিন্তু তিনি কোনো কিছুই আয়োজন করতে পারেননি। শুধু আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় খেলাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এক সময় জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে খেলত। সেটাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

কেন, আমরা জানি না। লিপু পরিচালক থাকার সময় এগুলোর আয়োজন করেননি। আমরা বারবার চেষ্টা করেছি তার সঙ্গে যোগাযোগ করার। কিন্তু তিনি কোনো রাস্তা বের করে দেননি। ' এ ব্যাপারে জানার জন্য বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক লিপুর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.