তো ব্যাপার হইতেছে সামনেই ইলেকশন। নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্হা লইয়া প্রধান দুই দল পাল্টা-পাল্টি অবস্হান নিয়াছে। সকলের অংশগ্রহনে নির্বাচন আজ প্রশ্নবিদ্ধ। কেউ চায় সর্বদলীয় সরকার…তো কেউ চায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার। কখনবা নির্বাচনকালীন সরকার প্রধান লইয়া ঝগড়াঝাটির শেষ নাই।
সবাই সরকারের রূপ-রেখা দিয়া চলিতেছে। জাতির এই অশুভক্ষণে আমার মস্তিস্কে হঠাৎ এক শুভ-বুদ্ধির উদয় হইয়াছে। আমিও একখানা রূপরেখা প্রণয়ন করিয়া আলুচিত বা সমালুচিত হইতে চাই।
নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা:
১.আওয়ামীলীগের ৫ জন সংসদ সদস্য। (যারা পরপর দুবার নির্বাচিত হইয়াছে)।
২. বি.এন.পির ৫ জন সংসদ সদস্য। ( যারা পরপর দুবার নির্বাচিত)।
৩.জাতীয় পার্টির ২ জন।
৪.স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত ২ জন।
৫.সুশীল সমাজ থেকে ২ জন।
( প্র্রদত্ত ১০ জন ব্যাক্তির মধ্য থেকে উপরের ৪ টি শ্রেনীর প্রার্থীগন নির্বাচিত করবেন)।
সরকার প্রধান ৪৫ দিন থাকবেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা …৪৫ দিন থাকবেন বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া। তবে কে আগে থাকবেন আর কে পরে হবেন এটা নিয়া লটারী হবে। তবে এই লটারী অবাধ, সুষ্ঠু ও আন্তর্জাতিক মানের হইতে হবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: ১.তথ্য, স্বরাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রনালয় স্বতন্ত্র প্রার্থীগন পরিচালনা করবেন।
২.নির্বাচন কমিশনের কাজে কেউ হস্তক্ষেপ করিবে না।
৩.জাতিসংঘ ছাড়া অন্য কোন দেশ বা সংস্হা থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষক আসিতে পারিবে না।
৪.নির্বাচনে সেনা মোতায়ন করতে হবে।
৫.কোন এম্বেসেডর নির্বাচন নিয়া কোন মন্তব্য করিবে না এই মর্মে নোটিশ প্রদান। করিলে তাকে নিজ দেশে পাঠিয়ে দিতে হবে।
** ইয়ে মানে যদি দুই নেত্রী সরকার প্রধান হইতে না চায় তবে আমি এই মহান রূপরেখার আবিস্কারক হিসেবে প্রধান হইতে আপত্তি করিব না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।