আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অরেগনের পথে – ৩ “বাংলাদেশ বনাম পাকিস্থান”

অনেক কবি সাহিত্যিককে বলতে শুনি বর্ষা তাদের প্রিয় ঋতু। মাধ্যমিক – উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রছাত্রীকে অনেকটা আরোপিত ভাবে আমার প্রিয় ঋতু রচনায় “বর্ষাকাল” লিখতে হয়। তবে বর্ষাকাল আমাকে মোটেও অনুপ্রাণিত করে না। আর মাসের ত্রিশ দিন যদি একনাগাড়ে বারিধারা প্রবাহমান থাকে তাহলে সেটা প্রায় তিক্ততার পর্যায়ে চলে যায়। আমেরিকার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল অর্থাৎ ওয়াশিংটন ও অরেগন অঙ্গরাজ্যে বছরের অনেকটা সময় জুড়ে মেঘাচ্ছন্ন থাকে।

অধিকাংশ সময় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি আর কালভাদ্রে তুষারপাত এই হলো অরেগনের আবহাওয়া। শুধু আবহাওয়া নয়, অরেগনের প্রকৃতিতেও রয়েছে প্রচুর বৈচিত্র। চারিদিকে আঁকাবাঁকা ধোঁয়াশা সিক্ত পাহাড়ি পথ আর দিগন্ত জোড়া ক্রিসমাস ট্রি’র সমাহার। শুনেছি গ্রীষ্মের অরেগন নাকি আরও বেশী সরব ও জীবন্ত, হয়তো ক্ষণস্থায়ী বিধায়! তবে আমার মতো কোলাহল প্রিয় মানুষের এসব মোটেও ভালো লাগার কথা নয়। সবকিছু কেমন যেনো কর্দমাক্ত আকাশ আর মেঘাচ্ছন্ন মাঠের মতো! ইতিমধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো মাসিক কোরআন স্টাডি সার্কেলে অংশগ্রহণের সুযোগ মিলেছে।

উক্ত আলোচনায় মূল বিষয়বস্তু ছিলো “জ্ঞান-বিজ্ঞানে মুসলিম মনীষীদের অবদান” বরাবরের মতো একজন মূল বক্তা বিষয়টিকে বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের মাধ্যমে উপস্থাপন ও বিশ্লেষণ করেন। পরবর্তীতে বাকীরা বিষয় সম্পর্কিত প্রশ্ন ও মন্তব্য করেন। আলোচনায় মুসলিম বিশ্বের অতীত ও বর্তমান প্রেক্ষাপট সহ অনেক কিছু উঠে এসেছে। তবে প্রশ্নোত্তর পর্বে অনুসন্ধান প্রসূত একটি প্রশ্ন করে বেশ বেকায়দায় পড়েছিলাম। আমার প্রশ্ন ছিলো ধর্মীয় অনুশাসন মেনে বর্তমান সময়ে একজন ছাত্র বা ছাত্রী কি বিজ্ঞান চর্চা করতে পারে কিনা? প্রত্যাশিতভাবে ইতিবাচক উত্তর পেয়ে সম্পূরক প্রশ্ন করলাম তাহলে কেনো আমাদের দেশের বিজ্ঞান মনস্ক বিজ্ঞ লেখকবৃন্দ ধর্মকে বিজ্ঞান চর্চায় বাধা বা অন্তরায় হিসেবে উপস্থাপন করেন? কিংবা শুধুমাত্র ধর্মীয় বিশ্বাস লালন এবং অনুশাসন মেনে চললেই একজন ছাত্র বা তরুণ কে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে কথিত রাজনৈতিকগোত্র ভুক্ত করা হয়? প্রশ্নটি উপস্থাপন করার পর অনেকের চেহারায় কিঞ্চিৎ অস্থিরতা লক্ষ্য করলাম।

কারণ আমি উদাহরণ স্বরূপ অনেকের প্রিয় লেখক, এমনকি আমার নিজেরও ডঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবালের নাম উচ্চারণ করেছি! আগেই বলেছিলাম অংশগ্রহণকারীদের অধিকাংশই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় হতে পাশকৃত, পিএইচডি ধারী, ইন্টেলে কর্মরত সফল প্রকৌশলী। যাহোক সঞ্চালক আমার আমার যুক্তির পক্ষে তার মতামত দিয়ে দ্রুত প্রশ্নোত্তর পর্বের ইতি টানলেন। পরবর্তীতে ভোজনপর্বে অনেকের সাথে পরিচয়ের সুযোগ ঘটে। অনেকে নিজের ব্যাক্তিগত পরিচয় দিয়ে পরোক্ষভাবে আমার প্রশ্নটির কথা উল্লেখ করেন আর দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের অনুরোধ জানান। কিন্তু আমার প্রশ্নের সঠিক উত্তর এখনো অজানা ! “বাংলাদেশ বনাম পাকিস্থান” সবে মাত্র একমাস গত হলো কাজে, একদিন সকালে অফিসে পোঁছে ইমেইল খুলে দেখি ম্যানাজারের মেইল।

শিকাগো থেকে নতুন একজন ব্যাক্তি আমাদের ল্যাবে জয়েন্ট করছে। তার রিপোর্টং থেকে শুরু করে ওরিয়েন্টেশনের দ্বায়িত্ব আমার উপর ন্যাস্থ করা হয়েছে। নাম দেখে বুঝে নিলাম মুসলমান, বাকিটুকু আন্দাজ করতে পারছিলাম না। যাহোক নির্ধারিত দিনে তার সাথে সাক্ষাৎ হলো। পরিচয় পর্বে জানতে পারলাম সে আমার সমবয়সী, জন্মসূত্রে পাকিস্থানি এবং ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়, আরবানা শেম্পেইন’র স্নাতক।

শুরু থেকেই তার সাথে বেশ সু সম্পর্ক গড়ে উঠে। তার জন্মস্থান পাকিস্থানের অ্যাবোটাবাদে! তথ্যটি শুনতেই আমি হাসি ধরে রাখতে পারলাম না। সে আত্নপক্ষ সমর্থন করে বললো দেখো এটা ছোট একটা শহর সবাই সবাইকে চিনে। তাছাড়া পাশেই সামরিক বাহিনীর বিশাল ক্যাম্প। ইচ্ছাকৃত ভাবে সামরিক বাহিনীকে দোষারোপ করার জন্যই এমনটি করা হয়েছে।

জবাবে তার কথা বিশ্বাস করেছি বলে তাকে আশ্বস্ত করলাম। ডিসেম্বরের ১৭ তারিখে ল্যাবে পৌঁছে প্রসঙ্গক্রমে তাকে বললাম গতকাল আমাদের বিজয় দিবস ছিলো। কাজের ফাঁকে, লাঞ্চ ব্রেকে তার সাথে অনেক এই ব্যাপার নিয়ে অনেক কথা হলো ঃ সো ব্র, হোয়াই ইও গাইজ স্যাপারেটেড ফ্রম পাকিস্থান? ঃ কজ উই ডোন্ট লাইক টু বি কিল্ড বাই বম্বার। মেইকস সেন্স ? ঃ হোয়াট ডু্ ইও মীন ? ঃ নাথিং , জাস্ট কিডিং, সি অ্যাট দ্যাট টাইম ইও পিউপল ডিড’ নট লাইক টু বি রুলড বাই আস। উই ওয়ান দ্যা ইলেকশান অ্যান্ড গট দ্যা মেজরিটি, বাট ইউ গাইজ ডিনেইড, ডিজ আগ্রী অ্যান্ড ডিড কন্সপাইরেসি।

ঃ ওহ!! আই সি, বাট পিউপল ইন পাকিস্থান থিঙ্ক দ্যাট, ইট’স ইন্ডিয়া’ স কন্সপাইরেসি, দে জাস্ট ওয়ানটেড টু ব্রেক পাকিস্থান। রিমেম্বার ইন নাইনটিন সিক্সটি ফাইভ উই হ্যাড অ্যা ফাইট। ঃ ওয়েল, ডোন্ট ফরগেট, ইট ওয়াজ অ্যা বাংলাদেশি গাই, হু ডিড লাহোর রিজলিউশণ ইন ফেবর অব পাকিস্থান! ইট ওয়াজ অ্যা গ্রেট ইনিশিটিভ বাট লেটার ইউ গাইজ জাস্ট মেসট আপ। ঃ সো হোয়াট ইও গাইজ থিঙ্ক ওভার দীয়ার, আই মিন ইন বাংলাদেশ? ঃ কাম অন ম্যান, ইট’স আব্যাউট হানড্রেড অ্যান্ড সিক্সটি মিলিয়ন পিউপল। হাউ কাম আই নো হোয়াট এভরিবডি থিঙ্ক! বাট আই থিঙ্ক, সিন্স ইও গাইজ কিল্ড সো ম্যানি ইনোসেনট পিউপল, রেপড, সো দ্যায়ার ইজ নো কোইয়েশান অফ বেইং উইথ ইও গাইজ।

আগেইন আই নো অ্যাবাউট ইন্ডিয়া’স রোল। নো ওয়ান্ডার। বাট ইও গেইভ দ্যাম দ্যা চান্স। ইও সি এভরি ডে পিউপল আর ডাইং ইন সুইসাইড বম্ব অ্যাটাক ইন পাকিস্থান ঃ আই এগ্রি ম্যান, সি ইট ওয়াজ’নট পিউপল’স ইনটেনশান ইদার। জাস্ট দ্যা করাপ্টেড রুলার।

পিউপল ওয়ানট পিস, অ্যান্ড টু প্র্যাকটিস দীয়ার ফেইথ। অ্যান্ড এভেরি টাইম রুলার ইউজ ইট। ঃ নাউ ইও টকিং, সেইম হেয়ার ব্র। উই হ্যাভ মিঃ টেন পারসেন্ট, প্রুভেন পেট্রিইয়ট, এন্ড সো ম্যানি। অল আই থিঙ্ক, ইট’স দ্যা ইভিল ইনটেনশান অফ এলিট ফ্রম বোথ উইংস।

হু ডিড অ্যান্ড ক্যান ডু অ্যানি থিং ফর দীয়ার ইন্টারেস্ট। অ্যান্ড এভরি টাইম দে ইউজ রিলিজন, ঃ এক্সেটলি, উই হ্যাভ মিঃ টেন পারসেন্ট টু। ঃ হু ? ঃ হাহহাহ, জারদারি, ডু ইও নো সাম পিউপল থিঙ্ক হি কিল্ড বেনেজির? ঃ সিরিয়াসলি!!!! নো ওয়ান্ডার, দে ক্যান ডু অ্যানি থিং অ্যাই টোল্ড ইও ঃ অ্যানি ওয়ে আই জাস্ট ওয়ানট টু সি অ্যা গুড মুসলিম লিডার, হু ক্যান ব্রিং সাম গুড ঃ ইয়া, আই উইশ  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।