কায়াকিং অ্যান্ড ক্যানয়িং বলতে মূলত একই জিনিস বুঝায় তবে কিঞ্চিৎ পার্থক্য বিদ্যমান। ক্যায়াকি দেখতে সরু লম্বাটে, অনেকটা নারিকেলের ফুলের মতো। অন্যদিকে ক্যানই দেখতে আমাদের দেশের ডিঙ্গি নৌকার মতো। তবে উভয়ের মধ্যে মূল পার্থক্য ক্যায়াকির বৈঠা উভয় দিকে থাকে, অন্যদিকে ক্যানইয়ের বৈঠা শুধুমাত্র একদিকে থাকে।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী হাজির হলাম পোর্টল্যান্ডের ডাউনটাওনে কলাম্বিয়া নদীর তীরে।
এই কলাম্বিয়া নদীই অগেরনকে ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্য থেকে পৃথক করেছে। আবহাওয়া বেশ চমৎকার তবে হালকা বাতাস কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করবে বলে মনে হচ্ছে!
অ্যামেরিকানদের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা দেখে ভয় না পেয়ে উপায় নেই। প্রত্যেককে আলাদা ভাবে “অসাবধানতা বসত আপনার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়” এই টাইপের কাগজে নামের অদ্যাক্ষর ও দস্তখত করতে হয়েছে।
অবশেষে লাইফ জ্যাকেট, কস্টিউম পড়ে নেবার পালা। এবং সব শেষে লগি- বৈঠা! ভয়ের কোনো কারণ নেই এগুলো বাংলাদেশের বিখ্যাত কোনো লগি- বৈঠা নয়।
তবে কেনো জানি বৈঠা হাতে নেওয়ার পর বারবার একটি দৃশ্যই চোখে ভাসছিলো।
ধীরে ধীরে আমাদের পুরো টিম কায়াকিং শুরু করলো। কলাম্বিয়া নদীর স্রোতের অনুকূলে যেতে যেতে দেখা মিললো অসংখ্য ভাসমান অবকাস কেন্দ্রের, গ্রীষ্মের ছুটিতে অধিকাংশ মানুষ সপরিবারে সময় কাটায় এইসব কুটিরে। দেখতে অনেকটা থাই নির্মাণশৈলির মতো। একটু পর পর আমাদের পাশ ঘেঁষে ছুটে চলছে অসংখ্য প্রমোদতরী।
যাহোক এবার স্রোতের বিপরীতে ফেরার পালা! ঠিক তখনই বোধগম্য হয় মানুষ কেনো স্রোতের প্রতিকূলে চলা কে প্রবাদ বাক্য হিসেবে ব্যাবহার করে। নিম্ন মাধ্যমিক শ্রেণীর পাটিগণিতের সূত্র মাথায় রেখে দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা স্রোতের বিপরীতের যুদ্ধ করে অবশেষে গন্তব্য স্পর্শ।
তবে হঠাৎ কায়িক শ্রমে পাকস্থলী বিদ্রোহ করে বসেছে। আপাতত দেশী কোনো ব্যুফের সন্ধান করাই শ্রেয়।
চলবে...............
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।