আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আগুন নেভাতে গিয়ে নিহত হন সাতজন

গাজীপুরের আসওয়াদ কম্পোজিটে উন্নতমানের কর্মপরিবেশ ছিল। দুই বছর আগে থেকেই সেখানে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি ছিল। নিহত সাত শ্রমিকের সবাই ছিলেন অগ্নিনির্বাপক (ফায়ার ফাইটার)। আগুন নেভাতে গিয়েই আটকা পড়ে তাঁরা নিহত হয়েছেন।

বিজিএমইএ কার্যালয়ে আজ বুধবার রাত পৌনে আটটায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই দাবি করেন সমিতির সভাপতি আতিকুল ইসলাম।

তিনি আসওয়াদ কারখানার অগ্নিকাণ্ডকে কেবল একটি ‘দুর্ঘটনা’ হিসেবে অবহিত করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আসওয়াদ কম্পোজিটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাফিস শিকদার, পলমল গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাজ্জাদ করিম, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বর্তমান সহসভাপতি এস এম মান্নান, শহিদুল্লাহ আজিম প্রমুখ।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদঘাটনে পলমল গ্রুপকে আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে বলেছি। আশা করি, প্রতিবেদন পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। ’
নাফিস শিকদার বলেন, ‘লাশ দাফনের জন্য প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে তাৎক্ষণিকভাবে আমরা ৫০ হাজার করে টাকা দিয়েছি।

পরে সাড়ে চার লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এ ছাড়া ইনস্যুরেন্স বাবদ প্রত্যেকের পরিবার দুই লাখ করে টাকা পাবেন। ’
নাফিস শিকদার আরও বলেন, ‘অগ্নিনির্বাপণের সব ধরনের সরঞ্জাম থাকার পরও এক লাখ ১৫ হাজার বর্গফুট আয়তনের তিনটি ইউনিটে আগুন মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এটা আমাদের জন্য একটি নতুন বার্তা। ’
নাশকতার আশঙ্কা করছেন কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নাফিস শিকদার বলেন, ঘটনার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আমি সেখানে ছিলাম।

সবার সঙ্গে কথা বলেছি। সে রকম কিছু পাইনি। তবে যেহেতু ফায়ার সার্ভিস ও সরকারের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হচ্ছে। ফলে এই মুহূর্তে কিছু না বলাই ভালো। ’



সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.