রসায়নে এবারের নোবেল পুরস্কার পেলেন তিন বিজ্ঞানী। ‘রাসায়নিক গবেষণাকে সাইবারস্পেসে নিয়ে যাওয়ার’ স্বীকৃতিস্বরূপ এ পুরস্কার দেওয়া হলো তাঁদের। গতকাল বুধবার স্টকহোমে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁদের নাম ঘোষণা করে সুইডেনের রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস।
কৃতী এ তিন গবেষক হলেন, মাইকেল লেভিট, মার্টিন কারপ্লাস ও আরিয়েহ ওয়ারশেল। ব্রিটিশ ও মার্কিন নাগরিক লেভিট যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব মেডিসিনের গবেষক।
মার্কিন-অস্ট্রীয় নাগরিক কারপ্লাস গবেষণা করেন ফ্রান্সের স্ট্রাসবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর মার্কিন-ইসরায়েলি নাগরিক ওয়ারশেল যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার অধ্যাপক। পুরস্কারের অর্থমূল্য হিসেবে পাওয়া ১২ লাখ মার্কিন ডলার তাঁরা তিনজন ভাগাভাগি করে নেবেন।
রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রতিফলন দেখতে কম্পিউটার মডেল ব্যবহারের পথিকৃৎ এ তিন বিজ্ঞানী। রাসায়নিক প্রক্রিয়ার পূর্বাভাস দিতে কম্পিউটার সিমুলেশন তৈরি করেন তাঁরা।
এর মাধ্যমে এই গবেষকেরা নতুন ধরনের ওষুধপত্র তৈরির জটিল প্রক্রিয়া সমাধানের ভিত্তি গড়ে দিয়েছেন বলে মূল্যায়নে বলেছে সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস।
একাডেমি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটিত হয় বিদ্যুৎ গতিতে। ইলেকট্রন কণাগুলো পারমাণবিক নিউক্লিয়াসের মধ্যে এমনভাবে লাফঝাঁপ করে, যা বিজ্ঞানীদের উৎসুক চোখেরও অগোচরে থেকে যায়। ’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘রসায়নে ২০১৩ সালের নোবেলজয়ীরা কম্পিউটার ব্যবহারের মাধ্যমে রসায়নের রহস্যময় পথগুলোর মানচিত্র আঁকার কাজটি সম্ভব করেছেন। আজকে টেস্টটিউবের মতোই কম্পিউটারও একটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র।
’ বিবিসি ও রয়টার্স।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।