আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যে অভ্যাস গুলোর কারণে প্রেমহীন আপনার জীবন!

I do not agree with what you have to say, but I'll defend to the death your right to say it.
আশেপাশের বন্ধু বান্ধবরা যখন সবাই প্রেম করে বিয়ের পিঁড়িতে বসে পড়ছে তখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে যে এই একাকীত্বের পেছনে কি আপনি নিজেই দায়ী কিনা। অনেক সময় নিজেকে ভেতরে গুটিয়ে রাখা, মানুষের সাথে মিশতে সংকোচ কিংবা মন খুলে কথা বলতে পারার অভ্যাস না থাকার কারণে অনেকেই ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন না। মিলিয়ে দেখুন তো এসব অভ্যাস আপনারও আছে কিনা। ১। সঠিক সময়ে সাড়া না দেয়া অনেকেই হয়তো আপনাকে ভালোবেসে মনের দরজায় কড়া নেড়েছিলো।

কিন্তু আপনার কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে সরে গিয়েছে। অথচ আপনি হয়তো পুরো ব্যাপারটা না বুঝেই কোনো প্রতিক্রিয়া দেখান নি । অথবা ইচ্ছে করেই এড়িয়ে গিয়েছেন। যারা না বুঝে অথবা বিভিন্ন কারণে ইচ্ছে করেই অন্যের অনুভবের আহবানে সাড়া দেয় না তাঁরা সাধারণত একাই রয়ে যায়। তবে তাই বলে তো যেনতেন কেউ একজন প্রেমের প্রস্তাব দিলেই তো রাজী হওয়া যায় না।

আপনার পছন্দ অনুযায়ী এবং আপনার পরিবারের চাহিদার সাথে যদি কারো যোগ্যতা মিলে যায় তাহলেই কেবল মাত্র সাড়া দিন। মনের মিল থাকলে প্রেম হয়েও যেতে পারে। ২। নিজেকে গুটিয়ে রাখা আপনি যদি বিপরীত লিঙ্গের মানুষদের থেকে অনেক বেশি দূরত্ব বজায় রেখে চলেন অথবা অতিরিক্ত লজ্জা পান তাহলে আপনার প্রেমে জড়ানোর সম্ভাবনা খুবই কম। প্রেম যদি করতেই চান তাহলে জড়তা কাটিয়ে বিপরীত লিঙ্গের সাথে সখ্যতা করার ক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে নিজের ভেতরে।

কেউ যদি আপনার সাথে কথা বলতে আসে কিংবা সিনেমা দেখতে যেতে চায় আর আপনি যদি লজ্জা পেয়ে পুরো ব্যাপারটি এড়িয়ে যান, তাহলে নিশ্চিত ভাবেই সম্পর্ক গড়ে ওঠার কোনো সম্ভাবনা নেই। প্রেম করতে চাইলে বিপরীত লিঙ্গের সাথে বন্ধুত্বে আগ্রহ দেখাতেই হবে। কেউ নিজ থেকে কথা বলতে চাইলে, বন্ধুত্ব করতে চাইলে সেটা গ্রহণ করুন। লজ্জা পেয়ে নিজেকে গুটিয়ে রাখলে দিনশেষে কেবল নিঃসঙ্গতাই আসবে আপনার ভাগে। ৩।

যাপিত জীবনের ব্যস্ততা “শিক্ষা জীবনে পড়াশোনা আর টিউশনির ফাঁকে সময়ই মেলেনি প্রেম নিয়ে ভাবার। যখন শিক্ষা জীবন শেষ তখন তো চাকরী জীবনের শুরু। কর্ম ক্ষেত্রে সারাদিন ব্যয় করার পর প্রেম করার সুযোগ কিংবা ফুসরত কোনোটাই তো মেলে না। ”… অনেকেরই এমন অভিযোগ জীবনের প্রতি। ব্যস্ততা তো থাকবেই।

কিন্তু ব্যস্ততার সাথে তাল মিলিয়ে মনের চাহিদাকেও গুরুত্ব দিতে হবে। কেবল মাত্র যন্ত্রের মত কাজ করে যাওয়ার নাম জীবন নয়। জীবনে আবেগ, অনূভূতি ও ভালোবাসারও প্রয়োজন আছে। তাই ব্যস্ততার মধ্যেই নিজের জন্য, নিজের বন্ধুদের জন্য সময় বের করা উচিত। বেড়াতে যাওয়া, সামজিকতা, দশ জনের সাথে মেলামেশা ইত্যাদি করলেই না একটা সুযোগ তৈরি হবে মনের মানুষের সাথে পরিচিত হওয়ার।

৪। সম্পর্ক নিয়ে ভয় প্রেম করা নিয়ে অনেকেরই মনে ভয় থাকে। প্রায় সব মানুষের মধ্যেই প্রেম-ভালোবাসা সম্পর্কে কিছু নেতিবাচক ধারণা থাকে। কেউ কেউ মনে করেন প্রেম করা মানেই অনেক খরচ, মানসিক অশান্তি, উটকো ঝামেলা ইত্যাদি। তাই প্রেমের ক্ষেত্রে এক পা এগিয়ে দুই পা পিছিয়ে যান অনেকেই।

একটা বিষয় মনে রাখা উচিত, যদি সম্পর্ক গড়তেই চান তাহলে ভয় পেয়ে লাভ নেই। মনের মধ্যে একই সঙ্গে ভয় এবং ইচ্ছা দুটি থাকলে আপনি বার বার দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে যাবেন এবং হতাশা কাজ করবে আপনার মধ্যে। আর প্রেম করলে কিছুটা বেশি খরচ হবেই। ঘুরাঘুরি, খাওয়া দাওয়া ইত্যাদি খরচ গুলো দুজনে মিলেমিশে বহন করবেন। আর সম্পর্কে ছোটখাটো মানসিক টানা পোড়েন থাকবেই।

এগুলো এড়িয়ে যেতে পারলে কিংবা মেনে নিতে পারলে সম্পর্ক সুন্দর হয়। তাই প্রেম করার ইচ্ছা থাকলে মন থেকে অহেতুক ভয় দূর করে ফেলুন। জীবন একটাই। আর সেই একটা মাত্র জীবন মনের মানুষ ছাড়া একলা কাটিয়ে দেয়ার কোনো মানে নেই। বিপরীত লিঙ্গের মানুষের সাথে কথা বলতে অতিরিক্ত জড়তা, সংকোচ ইত্যাদি ঝেড়ে ফেলুন।

কেউ আগ্রহ নিয়ে বন্ধুত্ব করতে চাইলে আহবানে সারা দিন, এই বিশ্বাস রাখবেন যে নিশ্চয়ই আপনার ভালো কোনো দিন তাকে আগ্রহী করে তুলেছে আপনার প্রতি। ব্যস্ত জীবনের ফাঁকে সময় বের করুন নিজের ব্যক্তিগত জীবন ও সামাজিকতা রক্ষার জন্য। নিজেকে অকারণে গুটিয়ে রাখবেন না। বি. দ্র. আমারতো সবগুলোই কভার করেছে। আপনার কারণ কোনটা? দ্য বাংলাদেশ হেরাল্ড থেকে সংগৃহীত
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.