জাপানি ভাষায় ebi (এবি) অর্থ চিংড়ি এবং furai (ফুরাই) অর্থ ভাজা। মচমচে চিংড়ি ভাজা খেতে খুবই মজা।
উপকরণ (৪ জনের জন্য):
(১) চিংড়ি- ৮টি,
(২) ডিম- ১টি,
(৩) ময়দা- পরিমাণমত,
(৪) বিস্কুটের গুড়ো,
(৫) লবণ ও গোলমরিচ,
(৬) উদ্ভিদজাত তেল (ভাজার জন্য),
(৭) লেবু- ১টি,
(৮) বাঁধাকপি (বাঁধাকপি কুঁচির জন্য)- ২টি
(টার্টার সসের জন্য)-
(৯) মেয়োনেজ- ১/৩ কাপ (প্রায় ৬০ গ্রাম),
(১০) সিদ্ধ ডিম (টুকরো করে কাটা)- ১টি,
(১১) পিঁয়াজ কুঁচি- ৩ টেবিল-চামচ,
(১২) লবণ ও গোলমরিচ (প্রয়োজনমত)।
রান্নার পদ্ধতি:
(১) এক মিলিমিটার পুরু করে বাঁধাকপি কুঁচি করে নিন। প্রায় ৫ মিনিট ঠাণ্ডা পানিতে বাঁধাকপি কুঁচি ভিজিয়ে রাখুন।
তারপর একটি ঝাঁঝরিতে করে পানি ঝরিয়ে নিন।
(২) উপকরণগুলো টার্টার সসের সাথে মিশিয়ে নিন।
(৩) চিংড়ি মাছের পা এবং খোসা ছাড়িয়ে নিন, কিন্তু লেজ ও তার পাশে একটু খানি খোসা রেখে দিন। পিছনের ময়লাযুক্ত শিরাটা ফেলে দিন। তারপর পেটের নিচের দিকে ১ সেন্টিমিটার দূরে দূরে কয়েকটি দাগ কেটে নিন।
পিছন দিকে চিংড়ি মাছ বাঁকানোর চেষ্টা করুন। এটা করলে, চিংড়ি মাছ সোজা থাকবে। সোজা একটি চিংড়ি মাছ দেখতে বড় মনে হয় এবং চোখ জুড়ানোর পাশাপাশি মনও ভরে যায়।
(৪) পানি ঝরিয়ে চিংড়ি মাছ শুকিয়ে নিন এবং এর উপরে লবণ ও গোলমরিচ ছড়িয়ে দিন। তারপর যথাক্রমে ময়দা, ফেটানো ডিম ও বিস্কুটের গুড়োর মধ্যে গড়িয়ে নিন।
(৫) একটি ফ্রাইপ্যানে তেল নিয়ে গরম করুন। বিস্কুটের গুড়োর আবরণ দেয়া চিংড়িগুলো গরম তেলের মধ্যে ছেড়ে দিন এবং মাঝারি আঁচে প্রায় ২ মিনিট ভেজে নিন, যতক্ষণ না এগুলো সোনালী বাদামী করে ভাজা হচ্ছে। একেক বারে চারটি করে দুইবারে মোট আটটি চিংড়ি ভেজে নিন। সবগুলো চিংড়ি একবারে ভাজার চেষ্টা করবেন না, তাহলে তেল খুব বেশি ঠাণ্ডা হয়ে যাবে, যা বিস্কুটের গুড়োর আবরণকে মচমচে না করে নরম করে ফেলবে।
(৬) একটি প্লেটের একপাশে বাঁধাকপি কুঁচি রাখুন এবং অন্যপাশে চিংড়ি ফ্রাই রাখুন।
চিংড়ি ফ্রাই লেবুর টুকরো এবং টার্টার সসের সাথে পরিবেশন করুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।