নোয়াখালীর প্রধান ডাকঘরে ইলেকট্রনিক মানি অর্ডার ইসু্যর মাধ্যমে ২৬ লক্ষ ৬০ হাজার ২৬৫ টাকা আত্মসাত্ ও জালিয়াতির অভিযোগে আজ দুপুরে সহকারী পোষ্ট মাস্টার মনির চৌধুরী শহীদ ও সাবেক ই.এম.ও শাখার কাউন্টার অপারেটর আবদুল্লা-আল-সুফিয়ানসহ ২জনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে।
কিন্তু মূল অপরাধী ই.এম.ও শাখার কাউন্টার অপারেটর রীনা রাণী মজুমদান ও ট্রেজারের মোঃ আবু সায়েমকে মামলার প্রধান আসামী করলেও রহস্যজনক কারণে এই ২জনকে থানায় সোপর্দ করেনি। এই নিয়ে চলছে নানা প্রতিক্রিয়া। এদিকে ৪জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
নোয়াখালীর প্রধান ডাকঘরের সহকারী পোস্ট মাস্টার জেনারেল এস.এম. সহিদ উল্যাহর নিকট জানতে চাইলে তিনি ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে জানান, তদন্তে তার ৪জনের নাম উঠে এসেছে।
৪জনেই অপরাধী, তবে রীনা রাণী মজুমদার ও মোঃ আবু সায়েম সহ ২জনেই ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ায় তাদের থানায় সোপর্দ করা হয়নি। বাকি ২জন টাকা দিতে অপারগতা জানালে তাদেরকে থানায় সোপর্দ করা হয় এবং এই ঘটনায় ৪জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
পুলিশ ও ডাকঘর সূত্রে জানা যায়, টাকা আত্মসাত্ ও জালিয়াতির অভিযোগে বুধবার রাতে রীনা রাণী মজুমদার ও মোঃ আবু সায়েমকে ২দিন ধরে অফিসে তালা লাগিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন প্রধান ডাক কর্মকর্তা শহীদ উল্যা। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত পোস্ট মাস্টার জেনারেল সুফিউল আলম তালুকদারের নেতৃত্বে তদন্ত শেষে ৪জনের নামে মামলা হলেও প্রধান ২ আসামীকে থানায় সোপর্দ না করে অপর ২জনকে থানায় সোপর্দ করে।
আটককৃতরা থানা হাজতে জানান, পোস্ট মাস্টার আমাদের নিকট ৫লক্ষ টাকা দাবি করে, আমরা অপরাধী নয়, কেন তাদেরকে টাকা দিব।
টাকা না দেওয়ায় আমাদের থানায় সোপর্দ করেছে।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি জানান, যেহেতু পোস্ট অফিস প্রধান ২জনকে থানায় সোপর্দ করেছে এবং বাকীদের ২জনকে করেনি। মামলাটি তদন্ত করে দুদকে পাঠিয়ে দিব। এদিকে আসামীদের রোববার বিকেলে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালত জেল হাজতে প্রেরণ করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।