মেহেরপুরে আকস্মিক ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে চাঁদবিল গ্রাম। চাঁপাইনবাবগঞ্জে টর্নেডোর আঘাতে ১২টি গ্রামের কয়েকশ বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। তাছাড়া নীলফামারীর সৈয়দপুরে ঝড়ে উপজেলার ৫ ইউনিয়নে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
মেহেরপুর : মেহেরপুরের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া রবিবার মধ্য রাতের আকস্মিক ঝড় লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে গেছে কয়েকটি গ্রাম। ঝড়ের তাণ্ডবে গাছ উপড়ে পড়েছে সড়কে।
এ কারণে রাত সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আটকা পড়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জেআরএসএমসহ বিভিন্ন পরিবহন বাস। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং এলাকাবাসীর সহযোগিতায় গাছ সরিয়ে নেয়। এক ঘণ্টা পর আবার যানচলাচল স্বাভাবিক হয়। আকস্মিক ঝড়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চাঁদবিল গ্রাম।
লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি। কার ঘরের টিন কার ঘরে গিয়ে পড়েছে বোঝার উপায় নেই। রবিবার রাত ১২টা ২৫ মিনিটে আকস্মিক এই ঝড় শুরু হয়। সঙ্গে বৃষ্টি। স্থায়ী হয় মাত্র ৫ মিনিট।
৫ মিনিটেই লণ্ডভণ্ড করে দেয় গোটা এলাকা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ : পাইলিনের প্রভাবে রবিবার রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট, গোমস্তাপুর ও নাচোল উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া টর্নেডোতে ১২টি গ্রামের কয়েকশ বাড়িঘর লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। উপড়ে পড়েছে গাছপালা। বিদ্যুৎহীন রয়েছে বিশাল এলাকা। গতকাল সকালে জেলা প্রশাসক সরদার সরাফত আলী ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন।
সৈয়দপুর (নীলফামারী) : দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও প্রবল আশ্বিনী ঝড়ে সৈয়দপুরের গ্রামাঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গতকাল বয়ে যাওয়া ঝড়ের দাপটে উপজেলার ৫ ইউনিয়নে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। উপড়ে গেছে অসংখ্য গাছপালা। ঝড়ের কবলে পড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে কামাপুকুর ইউপির ধলাগাছ গ্রাম। বিধ্বস্ত হয়েছে এ গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়ি।
উড়ে গেছে ঘরের টিনের চালা। ভেঙে পড়েছে সহস্রাধিক গাছপালা। এ ছাড়া বোতলাগাড়ী, খাতামধুপুর, কাশিরাম বেলপুকুর ও বাঙ্গালিপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে ধসে পড়েছে কাঁচা ঘরবাড়ি। এতে গৃহহীন হয়ে পড়েছে কয়েকশ পরিবার। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকাজ বিঘ্নিত হচ্ছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।