আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বসছে সিপিবি-বাসদ


সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় গণভবনে এই বৈঠকে যোগ দেবেন।   
সিপিবি সভাপতি সেলিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গত শনিবার তিনি ১৪ দলের মুখপাত্র ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে কথা বলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করেন। বিষয়টি তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানাতেও অনুরোধ করেন।       
“প্রধানমন্ত্রী গতকাল দুপুরে ফোন করেছিলেন।   মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আমাদের গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।


প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাসদের সাধারণ সম্পাদকও।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আমাদের ২৯ তারিখ ইনভাইট করেছেন। উনি গতকাল আমাকে ফোন করেছিলেন।
সংবিধান অনুযায়ী আগামী ২৪ জানুয়ারির মধ্যে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে এবং ওই সময় পর্যন্ত সংসদ বহাল থাকবে, দেশ চলবে বর্তমান সরকারের অধীনেই।    
এ বিষয়ে আপত্তি তুলে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি করে আসছে বিরোধী দল বিএনপি।

  নির্বাচনকালীন  সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শেখ হাসিনার থাকা নিয়েও তাদের আপত্তি।  
এ নিয়ে রাজনৈতিক সংঘাতের আশঙ্কার মধ্যে গত ১৮ অক্টোবর জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় মন্ত্রিসভার প্রস্তাব তোলেন প্রধানমন্ত্রী। বিরোধী দলকেও তিনি ওই মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে বলেন।  
এর দুই দিন পর প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব নাকচ করে সাবেক উপদেষ্টাদের নিয়ে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের পাল্টা প্রস্তাব তোলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।   এ বিষয়ে আলোচনার উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান  তিনি।


গত ২২ অক্টোবর বিএনপির পক্ষ থেকে ওই প্রস্তাবের বিষয়ে আলোচনার জন্য আওয়ামী লীগকে চিঠি দেয়া হয়। পরদিন সংসদে গিয়ে ওই প্রস্তাব পড়ে শুনিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আবারো  আলোচনার উদ্যোগ নিতে বলেন বিএনপির সাংসদরা।  
এরপর গত শুক্রবার  সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৮ দলীয় জোটের জনসভা করে আলোচনায় বসার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে দুই দিন সময় বেঁধে দেন খালেদা।   এর মধ্যে উদ্যোগ না নিলে রোববার থেকে টানা ৬০ ঘণ্টার হরতালের ডাক দেন।    
ওই সময় শেষ হওয়ার আগেই শনিবার টেলিফোনে কথা হয় দুই নেত্রীর মধ্যে।

  প্রধানমন্ত্রী সোমবার গণভবনে বসার আমন্ত্রণ জানান বিরোধী দলীয় নেতাকে। হরতাল প্রত্যাহারেরও আহ্বান জানান তিনি।  
কিন্তু বিএনপি চেয়ারপার্সনের পক্ষ থেকে বলা হয়, হরতাল প্রত্যাহার করা সম্ভব নয়।   হরতাল শেষে বিরোধী দলীয় নেতা আমন্ত্রণ গ্রহণ করতে প্রস্তুত।    
সিপিবি সভাপতি সেলিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।

উনি বলেছেন, পরশু (বুধবার) বিরোধী দলীয় নেতার সঙ্গে আমাদের দেখা হবে। তবে তিনি সময়টা নিশ্চিত করেননি। ”
অবশ্য খালেদা জিয়া বুধবার গণভবনে যাচ্ছেন কি না- তা নিশ্চিত করেনি বিএনপি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবারও সাংবাদিকদের বলেন, “২৯ তারিখ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি রয়েছে। এরপর  যে কোনো সময়ে প্রধানমন্ত্রী ডাকলে আমরা সংলাপে বসতে তৈরি আছি।


গতকাল শুক্রবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক বৈঠকের পর সিপিবি ও বাসদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশের চলমান সংকট নিরসনে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
সিপিবি সভাপতি সেদিন বলেন, “আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে দেশে রাজনৈতিক সংকট আসন্ন। জনগণ অনিশ্চয়তা ও উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে বিপদ এড়ানো যাবে না। সবার অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য ফর্মুলা বের করার এখনই সময়।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.