আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শ্রমিক চেলসী ক্লিনটন!

ক্ষমতাধর মার্কিন মুল্লুকের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং প্রভাবশালী দম্পতি বিল ক্লিনটন এবং হিলারী ক্লিনটনের একমাত্র সন্তান চেলসী ক্লিনটন (৩৩) শ্রমিকের কাজ করছেন! ময়লা-আবর্জনা পরিস্কারের পাশাপাশি করছেন হারিকেন স্যান্ডিতে ক্ষতিগ্রস্ত নিউইয়র্ক সিটির কয়েকটি এলাকায় পুনর্বাসন প্রকল্পের কাজ। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেণ্ট বিল ক্লিনটন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিনটনের এ সাংবাদিক মেয়েটি এখন দিনরাত ঘাম ঝরাচ্ছেন মানবতার সেবায়। হোয়াইট হাউজের ঝকঝকে পরিবেশে বেড়ে ওঠা তরুণীটি এখন রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে পরিস্কার করে চলেছেন নগরির জঞ্জাল-আবর্জনা।

এনবিসি টেলিভিশনের স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট চেলসী কয়েক শত স্বেচ্ছাসেবকের সাথে হিমেল হাওয়ার মধ্যে ২৬ অক্টোবরও কাজ করতে দেখা গেছে। নিউইয়র্ক সিটির কুইন্সে রকোওয়ে এলাকায় চেলসীর সাথে বাংলাদেশী ওসমান চৌধুরীও ছিলেন।

আরেকটি টিম কাজ করছে সিটির স্ট্যাটেন আইল্যান্ডে।

গত বছর ঠিক একই সময়ে হারিকেন স্যান্ডির আঘাতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই জনপদে এক বছর পরও চলছে পুনর্নিমান কাজ। আর এতে অংশ নিচ্ছে ক্লিনটন ফাউন্ডেশন এবং ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিসিয়েটিভ'র শত শত স্বেচ্ছাসেবক। ডে অব এ্যাকশন'র আওতায় এ স্বেচ্ছাসেবকদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন চেলসী। ২৬ অক্টোবর কাজের সময় নিউইয়র্ক সিটির পার্ক এন্ড রিক্রিয়েশন ডিপার্টমেন্ট এবং আরেকটি সংস্থার কর্মকর্তারাও ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে কম্যুউনিটি এ্যাক্টিভিস্ট ওসমান চৌধুরী বার্তা সংস্থা এনাকে বলেন, চেলসীর নেতৃত্বে কাজের মজাই আলাদা। তিনি আমাদেরকে এতটাই আপন ভাবেন যে, কাজের কষ্ট ভুলে যাই। অনেক সময় চেলসী নিজে আমাদের চেয়েও কঠিন কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করছেন। দু:স্থ মানুষদের জন্যে চেলসীর এই সহমর্মিতা আমাদেরকে অনুপ্রাণীত করে আরো বেশী কাজে।

উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দুই বার দায়িত্ব পালনের সময় সারাবিশ্বে যে খ্যাতি অর্জন করেছেন বিল ক্লিনটন, তাকেই তিনি কাজে লাগাচ্ছেন মানবতার সেবায়।

এ জন্যে গঠিত হয়েছে 'ক্লিনটন ফাউন্ডেশন' এবং 'ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিসিয়েটিভ'। আমেরিকা, আফ্রিকা, এশিয়া এবং ইউরোপের পিছিয়ে থাকা অঞ্চলের মৌলিক সমস্যা সমাধানে হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছে এ দুটি সংস্থা। এ অর্থ দিচ্ছে বিশ্বের সেরা ধনী এবং সেরা প্রতিষ্ঠানগুলো।

অন্যদিকে বগুড়ার সন্তান সেই ট্যাক্সি চালক ওসমান চৌধুরী দীর্ঘদিন থেকে ড্রাইভিংয়ের পাশাপাশি ক্লিন্টন ফাউন্ডেশন এবং দেশিজ রাইজিং আপ এন্ড মুভিং (ড্রাম) এর স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন। একইসাথে নিউইয়র্ক সিটির ট্যাক্সি ড্রাইভারদের অধিকার ও মর্যাদার প্রশ্নেও লড়াই অব্যাহত রেখেছেন।

কয়েক বছর আগে তার ট্যাক্সিতে ফেলে যাওয়া এক মহিলা যাত্রীর কয়েক কোটি টাকা মূল্যের ডায়মন্ড-অলংকার ফিরিয়ে দিয়ে সারা বিশ্বে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিলেন ওসমান। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে দিয়েছিলেন অনেক ওপরে।  

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.