www.facebook.com/mahamudul.hasan.9619 ভ্রমন করা, লেখালেখি করা, বিজ্ঞান ওয়েবসাইট দেখা, অনেক বই ও ম্যাগাজিন পড়ি এবং ওয়েবসাইট প্রোগ্রামিং করতে খুব পছন্দ করি।
এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। এই অগ্রযাত্রায় তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের রয়েছে অসামান্য অবদান। এ হাসি যেন বাংলাদেশের উজ্জ্বল অর্জনেরই প্রতীক
খুব সকালবেলা বিমানবন্দর সড়ক পার হয়ে আশুলিয়ায় পা রাখলেই চোখে পড়ে চলমান মানুষের সারি। দেখলে মনে পড়বে সৈয়দ শামসুল হকের সেই বিখ্যাত লাইন, ‘মানুষ আসতে আছে যমুনার বানের লাহান’।
সারা দেশে বানের লাহান আসা এই মানুষের সংখ্যা প্রায় ৩৬ লাখ। এঁদের আবার ৩০ লাখেরও বেশি নারী। ওঁরা সবাই পোশাকশ্রমিক।
একটু পিছিয়ে এলে বিমানবন্দরে প্রতিদিন চোখে পড়বে অসংখ্য মানুষ। ওঁরা যাচ্ছেন অন্য দেশে, কাজ করতে।
ওঁদের সংখ্যা ৬৭ লাখেরও বেশি।
আর সারা দেশের পল্লি এলাকাজুড়ে আছে আরও এক কোটি ২০ লাখের মতো মানুষ। ওঁরা কৃষক। সারা বছর ধরে তাঁরা ফসল ফলান।
বাংলাদেশ টিকে আছে এই তিন শ্রেণীর মানুষের ওপর নির্ভর করেই।
দেশের প্রধান রপ্তানি খাত পোশাক। ৮০ শতাংশের বেশি রপ্তানি আসে এই একটি খাত থেকে। কর্মসংস্থানের দিক থেকেও তৈরি পোশাক সবচেয়ে বড় খাত। তার পরও পণ্য রপ্তানির আয় দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার সব চাহিদা মেটে না। এ জন্য রপ্তানি করতে হয় জনশক্তি।
আর তাঁদের পাঠানো আয় দিয়েই পুরো অর্থনীতির লেনদেনের ভারসাম্য রক্ষা করতে হচ্ছে সরকারকে। প্রবাসী-আয়ের কারণেই লেনদেনের ভারসাম্যে কোনো অঘটন ঘটছে না এখানে। এবার কৃষকের জয়গান গাওয়া যেতে পারে। প্রায় ১৬ কোটি মানুষের এই দেশে বাংলাদেশ খাদ্যে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। উচ্চমূল্যে খাদ্য আমদানি করতে হয় না।
ফলে এ খাতে ব্যয় করতে হয় না বড় অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা। অর্থনীতিও থাকে চাপমুক্ত।
ভয়ের দিকও আছে। যদি পোশাক খাতের রপ্তানি কমে যায়, কমে যায় দেশান্তরে গমন, কৃষকেরা চাল উৎপাদন কমিয়ে দেন, তাহলে অর্থনীতিতে নেমে আসবে বড় ধরনের বিপর্যয়। এর যেকোনো একটি প্রতিকূল হলেই সংকটে পড়বে অর্থনীতি।
অথচ কৃষকেরা এখনো তাঁদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পান না, পোশাকশ্রমিকেরা পান না পর্যাপ্ত মজুরি, প্রবাসী শ্রমিকেরাও পান না সামান্য মর্যাদা। বিমানবন্দরে পড়তে হয় হয়রানি বা বিড়ম্বনায়।
সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার একসময় বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলেছিলেন। কারণ, বাংলাদেশকে যে অর্থই দেওয়া হয়, তা আর থাকে না। ‘বাস্কেট কেস’ হিসেবে বাংলাদেশের পরিচয় ছিল দীর্ঘদিন ধরে।
সেই বাংলাদেশের উন্নয়নকে এখন বলা হচ্ছে অমীমাংসিত রহস্য। বিশ্বব্যাংকের বিশ্ব উন্নয়ন প্রতিবেদন, ২০১৩ অনুযায়ী, ‘দিস ইজ দ্য ক্রাকস অব দ্য সারপ্রাইজ’। বিশ্বে এখন ধনী দেশগুলোর বাইরে ক্রমাগ্রসরমাণ বড় অর্থনীতি হিসেবে চারটি দেশের নাম বলছে। যেমন ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও চীন। সংক্ষেপে যাদের বলে ব্রিকস।
বিশ্বখ্যাত মার্কিন বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান স্যাচ বলছে, এর পরই রয়েছে ‘নেক্সট এলেভেন’। ১১ দেশের একটি বাংলাদেশ। আর আরেক মার্কিন প্রতিষ্ঠান জে পি মরগান বলছে, অগ্রসরমান পাঁচ দেশের একটি এখন বাংলাদেশ। তাদের ভাষায়, ‘ফ্রন্টিয়ার ফাইভ’।
বাংলাদেশের এই অর্জনের সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব পাচ্ছে তৈরি পোশাক খাত, প্রবাসী-আয় আর কৃষক।
তৈরি পোশাক খাতের এই অর্জনের পেছনে আছে একশ্রেণীর নতুন উদ্যোক্তা। কৃষিতে আছে সরকারের নেওয়া অনেক সহায়ক নীতি। তবে প্রবাসী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা খুবই কম।
বাংলাদেশের গল্প মাত্রই শুরু: ম্যাক কিনসে অ্যান্ড কোম্পানি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি বড় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। তারা সম্প্রতি বাংলাদেশের পোশাক খাতের অগ্রগতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সেখানে বলা হয়েছে, তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশের বিকল্প এখন ইউরোপ-আমেরিকার অনেক ক্রেতার কাছেই নেই। প্রতিবেদনের শুরুতেই বলা হয়েছে, চীন থেকে সরে যাচ্ছে ক্রেতারা। ভারতেও মজুরি বেশি। ফলে সবার চোখ এখন বাংলাদেশের ওপর। আর এ কারণেই তাদের মন্তব্য হচ্ছে, ‘বাংলাদেশের গল্প মাত্রই শুরু হলো।
’
বাংলাদেশের গল্প কিন্তু শুরু হয়েছিল আরও আগে, সত্তরের দশকে। এই দেশের প্রথম পোশাক কারখানার নাম রীয়াজ গার্মেন্টস। ১৯৬০ সালে ঢাকায় এটি প্রতিষ্ঠিত হলেও পরের ১৫ বছর তারা শুধু অভ্যন্তরীণ বাজারে পোশাক বিক্রি করেছে। ১৯৭৮ সালে ফ্রান্সে ১০ হাজার পুরুষের শার্ট রপ্তানি করে তারা এক কোটি ৩০ লাখ ফরাসি ফ্রাঙ্ক আয় করেছিল। এটিই ছিল বাংলাদেশ থেকে প্রথম সরাসরি পোশাক রপ্তানি।
১৯৭৯ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার দাইয়ো করপোরেশনের সহযোগে প্রতিষ্ঠা করা হয় দেশ গার্মেন্টস লিমিটেড। এটিই ছিল দেশের প্রথম শতভাগ রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা। এই কারখানায় ছিল দক্ষিণ কোরিয়া থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তিন নারীসহ প্রায় ১২০ জন অপারেটর। এর বড় অংশ পরে নিজেরাই পোশাক কারখানা প্রতিষ্ঠা করে। এঁরাই এখন বাংলাদেশের প্রথম সারির পোশাক উদ্যোক্তা।
১৯৮২ সালে দেশে পোশাক কারখানা ছিল মাত্র ৪৭টি। ১৯৮৪-৮৫ সময়ে তা বেড়ে হয় ৫৮৭টি। আর এখন দেশে পোশাক কারখানা আছে পাঁচ হাজারের বেশি। ১৯৮৩-৮৪ অর্থবছরে পোশাক রপ্তানি করে আয় হয়েছিল মাত্র ৯০ কোটি ডলার। ১৯৯৮-৯৯ সময়ে বেড়ে তা হয় ৫৫১ কোটি ডলার।
আর ২০১১-১২ অর্থবছরে আয় হয়েছে প্রায় দুই হাজার কোটি ডলার। বিশ্বে বাংলাদেশ এখন তৃতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ।
ম্যাক কিনসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পোশাক খাতে বাংলাদেশের বড় সাফল্যের মূল কারণ মূল্য ও সক্ষমতা। এখানে আছে পাঁচ হাজারের মতো পোশাক কারখানা। অথচ ইন্দোনেশিয়ায় কারখানার সংখ্যা দুই হাজার ৪৫০টি এবং ভিয়েতনামে আছে দুই হাজার।
এর এসব কারখানায় কাজ করে ৩০ লাখ শ্রমিক। এঁদের শ্রমের দাম সস্তা। ফলে মূল্যের দিক থেকেও বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের তুলনায় সুবিধাজনক স্থানে। আর এখানেই ঘটে নানা বিপত্তি। পোশাক শ্রমিকদের বেতন বাড়লেও তা দিয়ে বর্তমান বাজারে টিকে থাকা কষ্টকর।
কারণ, এসব শ্রমিক অন্য দেশের তুলনায় কম মজুরি পান। ফলে প্রায়ই বেতন-ভাতা নিয়ে হয় আন্দোলন। তবু দেশের প্রধান রপ্তানি খাতটি এখন এগিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতিসমূহের ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, সক্ষমতার তুলনায় বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির পরিমাণ অনেক কম। অনায়াসেই এ রপ্তানি ৫০ বিলিয়ন বা পাঁচ হাজার কোটি ডলার করা সম্ভব।
এ জন্য গ্যাস-বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানসহ অবকাঠামোর উন্নয়ন প্রয়োজন। পাশাপাশি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে। রাজনীতিবিদদের মনে রাখতে হবে, এমন কিছু করা যাবে না যাতে বাংলাদেশের রপ্তানি খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পোশাক খাতের এই বড় ব্যবসায়ী আরও বলেন, সবাই এখন চীনের পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রতি দৃষ্টি রাখছে। দক্ষ ও প্রচুর শ্রমিকের কারণেই বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থানে।
সুতরাং, বাংলাদেশের সামনে বড় সুযোগ। এ সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।
ভরসা জনশক্তি রপ্তানি: দ্বিতীয় কাজের সন্ধানে বাঙালিদের দেশান্তরে যাওয়ার ইতিহাস অনেক পুরোনো। এই প্রক্রিয়া থেমেছিল মোগল আমলে। ব্রিটিশের অধীনে থাকার সময় আবার শুরু হয়েছিল দেশান্তরে যাওয়া।
বিশেষ করে শিল্প বিপ্লবের পর কাজের জন্য বিলাত গেছেন এ দেশের অনেক মানুষ।
তবে বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশ উন্মুক্ত হয় সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময়ে। ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ থেকে ১৪ হাজার শ্রমিক কাজ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে গিয়েছিলেন। আর ওই বছর প্রবাসী-আয় হয় পাঁচ কোটি ডলার। এরপর সব মিলিয়ে প্রায় ৬৭ লাখ বাংলাদেশি বিশ্বের ১৪০টি দেশে গেছেন।
আর তাঁরা ২০১১-১২ সময়ে আয় করেন এক হাজার ৮৪ কোটি ডলার। তৈরি পোশাকের পর জনশক্তি রপ্তানিই বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম খাত। সারা বিশ্বে বাংলাদেশ এখন সপ্তম বৃহত্তম প্রবাসী-আয়ের দেশ।
বিশ্বব্যাংক বলছে, প্রবাসী-আয় বাংলাদেশে যে কেবল বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বাড়াচ্ছে তাই নয়, দারিদ্র্যবিমোচন ও উন্নয়নেও বড় ভূমিকা রাখছে। বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল অঞ্চল থেকে অনেক কম মানুষ প্রবাসে গেছেন।
আর ৮২ শতাংশ গেছেন ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চল থেকে। এই তিন অঞ্চলে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেশি।
২০১১-১২ সময়ে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির মধ্যে পার্থক্য ছিল এক হাজার কোটি ডলারের বেশি। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের বাকি উৎস বিদেশি বিনিয়োগ ও সাহায্য—এ দুটো এখন অনেক কম আসে। ফলে ভরসা একমাত্র প্রবাসী-আয়।
বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ভারসাম্যপূর্ণ করে রেখেছে এই প্রবাসী-আয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা অনুযায়ী, প্রবাসী শ্রমিকদের মধ্যে ৪৭ শতাংশ গেছেন অর্থ ধার করে, আর ৪১ শতাংশ গেছেন জমি বিক্রি বা বন্ধক রেখে অর্থ সংগ্রহ করে। এসব শ্রমিকের বড় অংশই অদক্ষ বা আধা দক্ষ। ফলে বিদেশে গিয়ে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। প্রবাসীরা আয়ের বড় অংশই দেশে পাঠান।
সেই অর্থেই অনেকের পরিবার চলে। তবে পরিবারের চেয়েও বেশি লাভবান হয় সরকার। প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা পায়। কিন্তু এসব প্রবাসী শ্রমিক দেশে ফিরলে কোথাও পান না মর্যাদা।
দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘কৃষির বাইরে তিনটি খাত থেকে দেশের প্রবৃদ্ধি আসে।
এগুলো হলো: কৃষিবহির্ভূত ক্ষুদ্র উদ্যোগ, পোশাক রপ্তানি ও শ্রম রপ্তানি। এখন পর্যন্ত এ তিন খাতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে তা হলো, একজনের দেখাদেখি অন্য জনের এগিয়ে আসার মাধ্যমে। কিন্তু পরের ধাপে আমাদের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে। ’ তিনি বলেন, ‘শ্রমিককে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তাঁকে বিদেশে পাঠিয়ে তাঁর আয় বাড়ানো। পোশাক খাতে মজুরি ও উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে আয় বৃদ্ধি এবং ক্ষুদ্র শিল্পে প্রযুক্তি উন্নয়নের মাধ্যমে পরবর্তী ধাপে উন্নীত করা।
’
হাসি থাকে না কৃষকের মুখে: ১৯৮৭-৮৮ সালে দেশে কৃষকেরা কেবল চাল উৎপাদন করেছিলেন এক কোটি ৫৪ লাখ মেট্রিক টন। এরও ১০ বছর আগে উৎপাদন ছিল তার অর্ধেক। আর ২০১১-১২ অর্থবছরে উৎপাদনের পরিমাণ তিন কোটি ৪৭ লাখ টন। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, কৃষক তাঁদের কাজটি ঠিকই করে যাচ্ছেন। খাবারের কোনো অভাব নেই দেশে, আছে বণ্টনের সমস্যা।
আর আছে ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার কষ্ট। ধানের দাম এবারও পাননি কৃষক। ফলে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেও কৃষকের মুখে হাসি থাকে না। অথচ দেশকে টিকিয়ে রাখছেন তাঁরাই।
এঁরা কৃষক, সারা বছর ধান ফলান।
কিন্তু ন্যায্য মূল্য কি পান?
বিশ্বব্যাংক বলছে, ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করতে বাংলাদেশের বড় ভরসার জায়গা হচ্ছে পোশাক রপ্তানি, প্রবাসী শ্রমিক ও কৃষি খাতের অব্যাহত সাফল্য। অর্থাৎ কৃষক ও শ্রমিক যেমন দেশের অর্থনীতি সচল রেখেছেন, তেমনি সামনে এগোতে হলেও বড় ভরসা তাঁরাই।
ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক ও অর্থনীতিবিদ মাহবুব হোসেন বলেন, প্রবাসী, পোশাক শ্রমিক আর কৃষক এ তিন পেশার মানুষই গ্রামনির্ভর। টিকে থাকার প্রয়োজনে অনেকে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন, কেউবা শহরে পোশাক শ্রমিকের কাজ নিয়েছেন। আর যাঁরা গ্রামেই থেকে গেছেন তাঁরা কৃষিকাজকে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন।
তবে এঁরা একে অপরকে সহযোগিতা করেছেন, আর এর মাধ্যমে বাংলাদেশও সামনের দিকে এগিয়েছে।
মাহবুব হোসেন আরও বলেন, অতি প্রাচীনকাল থেকেই এ দেশের গ্রামের মানুষের মধ্যে নতুন কিছু শেখা ও তার প্রয়োগ করার প্রবণতা ছিল। ফলে কৃষিতে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার তাঁরা দ্রুত শিখেছেন। উৎপাদন বাড়িয়েছেন। এর মাধ্যমে দেশের খাদ্যনিরাপত্তাও নিশ্চিত হয়েছে।
লেখাটি দৈনিক "প্রথম আলো" পএিকাতে প্রকাশিত।
লেখক--শওকত হোসেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।