আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘শ্রমিক নয়, পশু’

এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল (এআই) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। ২০২২ সালে অনুষ্ঠিতব্য ফিফার বিশ্বকাপ ফুটবলের স্বাগতিক দেশ মধ্যপ্রাচ্যের কাতার। বিশ্বকাপ প্রস্তুতি উপলক্ষ্যে কাতারে এখন পুরোদমে বিভিন্ন নির্মাণ কাজ চলছে, যার মধ্যে স্টেডিয়াম প্রধান। এসব স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজে নিয়োজিত অভিবাসী শ্রমিকদের সঙ্গে পশুর মতো ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ করেছে মানবাধিকার সংস্থাটি। প্রতিবেদনে বলা হয়, কাতারের এসব নির্মাণখাত অপব্যবহার ও নির্যাতনে ভরা।

এসব নির্মাণকাজে অভিবাসী শ্রমিকদের অত্যন্ত বিপজ্জনক পরিবেশে কাজ করতে হয়, নোংরা জায়গায় অবহেলার মধ্যে থাকতে হয় এবং প্রায়ই তাদের মজুরি বঞ্চিত করা হয়। অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, নির্মাণকাজের তদারকিতে নিয়োজিত এক ব্যবস্থাপক এসব শ্রমিককে “পশু” হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ‘অভিবাসনের অন্ধকার দিক: বিশ্বকাপের আগে কাতারের নির্মাণথাতের ওপর আলোকপাত’ এই শিরোনামের প্রতিবেদনটি তৈরি করতে ২শ’ ১০ জন শ্রমিক, কর্মী ও সরকারি কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে। ফিফার পরিকল্পিত সদরদপ্তর নির্মাণ কাজের সঙ্গে জড়িত নেপালি এক শ্রমিক জানিয়েছেন, মানুষ গবাদিপশুর সঙ্গে যেমন আচরণ করে তাদের সঙ্গেও তেমন আচরণ করা হয়। প্রতিদিন ১২ ঘন্টা করে কাজ করতে হয়, কোনো ছুটি ছাড়া সপ্তাহের সাতদিনই কাজ করতে হয়, এমনকি গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড গরমের সময়ও তাদের এভাবেই কাজ করে যেতে হয়।

এদের অনেককেই জোর করে কাজে বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে অ্যামনেস্টি। প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ দেখাতে না পারলে শ্রমিকদের জরিমানা করার, দেশে পাঠিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। তাদের মজুরি কম দেয়ারও ভয় দেখানো হয়, যদিও ঠিকমতো তাদের মজুরিও দেয়া হয় না। ২০১২ সালে কাজ করার সময় উপর থেকে পড়ে গিয়ে আহত হওয়া এক হাজারেরও বেশি শ্রমিককে দোহার প্রধান হাসপাতালের ট্রমা বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে বলে অ্যামনেস্টিকে জানিয়েছে হাসপাতালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিনিধি। আঘাতের কারণে এসব শ্রমিকদের ১০ শতাংশই পঙ্গু হয়ে যায় বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

শ্রমিকদের মৃত্যুর সংখ্যাও “উল্লেখযোগ্য” বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। বিশ্বকাপের নির্মাণকাজের পরিবেশ শ্রমিকবান্ধব করা হবে বলে জানিয়েছেন কাতারের সরকারি কর্মকর্তারা। তবে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে তারা এখনও কোনো মন্তব্য করেননি।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.