এই মৌসুমে সবারই ত্বক একটু শুষ্ক হয়ে যায়। এই সমস্যা মোকাবিলা করার একটাই উপায়। সেটা হল ত্বক খুব ভালোভাবে ময়শ্চারাইজ করা।
সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা কোনো ফেইস ওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে ময়শ্চারাইজার সমৃদ্ধ ক্রিম লাগানো উচিত। তবে বাড়ি ফিরে রাতে কখনই ফেইস ওয়াশ ব্যবহার করা উচিত নয়।
তখন ক্লিনজিং মিল্ক দিয়ে মুখটা পরিষ্কার করে ময়শ্চারাইজ করতে হবে। এছাড়া বাইরে বের হওয়ার ২০ মিনিট আগে সানস্ক্রিম আর রাতে শোওয়ার আগে নাইট ক্রিম লাগিয়ে তারপর ঘুমাতে যাবেন। এই সময় স্ক্রাব না করাই ভালো। এটা ত্বককে আরও বেশি শুষ্ক করে দেয়।
যদি প্রয়োজন হয় তাহলে ১৫ দিন অন্তর ঘরোয়া পদ্ধতিতে স্ক্রাব করা যেতে পারে।
যারা অফিসে এসিতে থাকেন তাদের অবশ্যই বারবার করে মুখে ময়শ্চারাইজার লাগানো উচিত। কারণ এসিতে থাকলে ত্বক অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে যায়।
যদি মেইকআপ ব্যবহার করেন, বাড়ি ফিরে সবসময় মেইকআপ তুলে খুব ভালো করে স্কিন নারিশ করে তবেই ঘুমোতে যাওয়া উচিত। মেইকআপ কিন্তু ত্বকের খুব ক্ষতি করে।
মুখের ত্বক ছাড়াও এই সময় সারা শরীরেই একটা রুক্ষ ভাব আসে।
তাই মুখের মতোই শরীরও ভালোভাবে ময়শ্চারাইজ করা খুব জরুরি। এই সময় সাবান ব্যবহার না করে মাইল্ড কোনো শাওয়ার জেল দিয়ে গোসল করলে শরীর কম রুক্ষ হবে। গোসলের ৩ মিনিটের মধ্যেই যদি ভেজা শরীরে ময়শ্চারাইজার সমৃদ্ধ লোশন লাগানো হয় তাহলে সারাদিন ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
গোসলের পানিতে কয়েক ফোঁটা এসেন্সিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিলে শরীরে একটা তাজা ভাবও থাকবে, আর্দ্রতাও বজায় থাকবে। আর গ্লিসারিন সারা বছরই ত্বকের জন্য খুব ভালো।
শরীর পরিষ্কার রাখাটাও খুব জরুরি। সপ্তাহে একদিন দই, মসুর ডাল বাটা ও মধু মিশিয়ে এই মিশ্রণটি দিয়ে ভালো করে সারা শরীর পরিষ্কার করা গেলে ত্বক অনেক কম রুক্ষ হবে। উপটানও শরীরের জন্য অনেক উপকারী। সেই সঙ্গে খুব ভালো করে গোসল করাও দরকার। আমাদের শরীরে কিছু নেগেটিভ আয়ন থাকে যেগুলো আসলে শরীরের জন্য ভালো।
শাওয়ারের তলায় দাঁড়িয়ে একটু সময় নিয়ে ভালো করে গোসল করলে শরীর বেশ তাজা থাকে।
এই সময় হঠাৎ পা ফাটার সমস্যা দেখা যায়। সারা শরীরের মধ্যে পা সব থেকে বেশি নোংরা হয়। তাই এখানেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা প্রয়োজন। বাইরে থেকে ফিরে বা রোজ রাতে একটু লবণ ও কয়েক ফোঁটা মাইল্ড শ্যাম্পু হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে পিউমিক স্টোন দিয়ে পা পরিষ্কার করে ভালো।
ফুট ক্রিম লাগিয়ে শোওয়া উচিত। তাহলেই পা ফাটবে না। আর যাদের এরই মধ্যে পা ফেটে গেছে তারা একটু সর্ষের তেলের মধ্যে লবণ দিয়ে ফাটা জায়গায় রোজ কিছুক্ষণ ঘষবেন। তাহলে আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে। আর যদি খুব পা ফাটার সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই ১৫ দিন অন্তর পার্লারে গিয়ে ফুট স্পা বা ক্রিস্টাল পেডিকিওর করিয়ে নেওয়া উচিত।
রুক্ষ এবং কালো গোড়ালি ও কনুইয়ের সমস্যায় ভোগেন অনেকে। এই সমস্যা অনেক সময় খুবই যন্ত্রণাদায়ক হয়ে যায়। এটা একদিনে হয় না। দীর্ঘকালের অযত্নে হয়।
প্রতিকারের জন্য একটা পাতিলেবু অর্ধেক করে কেটে একটু বেশি করে লবণ, চিনি দিয়ে ততক্ষণ ঘষতে হবে যতক্ষণ না লবণ, চিনি পুরোপুরি গলে যায়।
এরপর কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটা নিয়মিত করতে হবে। রোজ করতে থাকলে ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যায়।
এই সময় ঠিকঠাক খাওয়া দাওয়া করাটাই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। প্রচুর শাক-সবজি, ফলমূল আর পানি খাওয়া উচিত।
প্রতিদিন একটু হালকা ব্যায়াম করা ভীষণ দরকার। সকালে হাঁটতে পারলে ভালো হয়।
আর প্রয়োজন নিজেকে ভালো রাখা। টেনশন কম করে ফুরফুরে মেজাজে থাকাটাই সব থেকে বেশি জরুরি।
ছবি সৌজন্যে : ওম্যান’স ওয়ার্ল্ড
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।