রাজধানীর পান্থপথে আজ শুক্রবার দুপুরে কুড়িয়ে পাওয়া ককটেলের বিস্ফোরণে আহত হয়েছে মো. মুরাদ (১০) নামের এক শিশু। তার দুই হাত ঝলসে গেছে। সে বর্তমানে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিত্সাধীন।
এদিকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ৬০ ঘণ্টার হরতাল চালাকালে গত মঙ্গলবার পশ্চিম জুরাইনে কুড়িয়ে পাওয়া ককটেলকে খেলার বল মনে করে হাতে নেওয়ার পর সেটির বিস্ফোরণে চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয় নয় বছরের শিশু রহিমা আক্তারের। বর্তমানে সে রাজধানীর শ্যামলীতে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিত্সাধীন।
আহত মুরাদের বাবা সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক জামাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, তিনি পরিবার নিয়ে রাজধানীর গ্রিন রোডের আমবাগান বস্তিতে থাকেন। আজ দুপুর দেড়টার দিকে তাঁর ছেলে মুরাদ পান্থপথ মোড়ে সড়ক বিভাজকে একটি গাছের নিচে লালটেপ মোড়ানো একটি ককটেল দেখতে পায়। খেলার বল মনে করে সে হাতে নিতেই তা বিস্ফোরিত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, কর্তব্যরত চিকিত্সক জানিয়েছেন, মুরাদের দুই হাতের কবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ডান হাত। এ কারণে তাকে পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
আহত মুরাদের বাবা জামাল বলেন, তার ছেলে লেগুনার চালকের সহযোগী হিসেবে কাজ করে।
রহিমার অস্ত্রোপচার
রাজধানীর পশ্চিম জুরাইনে ককটেল বিস্ফোরণে আহত শিশু রহিমার চোখে অস্ত্রোপচার হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে এ অস্ত্রোপচার হয়। গত মঙ্গলবার বাসার সামনে বালুর মাঠে খেলার সময় লাল টেপ মোড়ানো ককটেলকে খেলার বল মনে করে হাতে নেওয়ার পর তা বিস্ফোরিত হয়। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিত্সকেরা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, রহিমার উভয় চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ডান চোখে ক্ষতির পরিমাণ বেশি।
ওই চোখে আর না দেখার আশঙ্কা রয়েছে। পরে রহিমাকে চক্ষু বিজ্ঞানে স্থানান্তর করা হয়।
রহিমার খালা নূপুর বেগম বলেন, চোখের ব্যাপারে চক্ষু বিজ্ঞানের চিকিত্সকেরা তাঁদের এখনো কোনো কিছু জানাননি। চোখের ব্যান্ডেজ খোলার পর চোখের অবস্থা সম্পর্কে জানা যাবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।