আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাবুলের বিরুদ্ধে ফুঁসছে ইসলামী জনতা

অসংখ্য অলি-আউলিয়া তথা মুসলমান অধ্যুষিত বাংলাদেশে যমুনা গ্রুপের হারাম মদ-বিয়ারের ব্যবসার বিরুদ্ধে এবার ফুঁসে উঠেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। ইসলামীবিরোধী অপতৎপরতা ও কুফরি কর্মকাণ্ডের মূল নায়ক বাবুলকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও যুমনা গ্রুপের সমস্ত কার্যক্রম অবৈধ ঘোষণা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।

আজ শুক্রবার রাজধানীর বায়তুল মোকারমসহ রাজধানীর অর্ধশতাধিক মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষে বাবুলের বিরুদ্ধে কয়েক হাজার লিফলেট বিতরণ করা হয়। বাংলাদেশের সম্মিলিত ইসলামী জনতার ব্যানারে কয়েকশ ধর্মপ্রাণ মুসল্লী এ লিফলেট বিতরণ করেন। লিফলেট পড়ে মুসল্লিরা বাবুলের প্রতি চরম ঘৃণা প্রকাশ করে বলেন, ৯০ শতাংশ মুসলমানের এই দেশে বাবুলের মদ-বিয়ারের ব্যবসা আমরা মেনে নেবো না।

তারা জানান, যিনি মদের ব্যবসা করেন, তার যমুনা ফিউচার পার্ক, ইহুদিদের আদলে গড়ে ওঠা ম্যারিয়েট হোটেলসহ সকল প্রতিষ্ঠান এবং পণ্য বজর্ন করা প্রতিটি মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব।

মুসল্লিরা বলেন, যিনি মসজিদ ভেঙ্গে জুয়ার আসর জমাতে মার্কেট বানান, তার সেই মার্কেটকে আমরা ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করছি। তার এই প্রতিষ্ঠান দেশবাসীকেও বজর্ন করার আহ্বান জানান মুসল্লিরা।

লিফলেটে লেখা আছে,

একাত্তরের বর্ণচোরা সন্ত্রাসী দোহারের কামারাখোলা গ্রামের কুখ্যাত ডাকাত মূর্খ নুরুল ইসলাম বাবুল দেশের স্বাধীনতার পর ডাকাতি, সন্ত্রাসী, চাদাবাজির মাধ্যমে রাতারাতি বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়ে যুমনা গ্রুপ নামের আড়ালে পবিত্র কুরঅান ও রাসুল (সা.) সুন্নত বিরোধী অভিশপ্ত ব্যবসায় লিপ্ত হন।

শতকরা ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে বাবুলের হান্টার, ক্রাউন ও উমর খৈয়াম নামের তিন ধরনের মাদক উৎপাদন ও বিতরনের লাইন্সেস দেওয়া হয়।

এতে শতকরা ১২-২০ ভাগ অ্যালকোহল মিশিয়ে বিয়ার উৎপাদন এবং শর্ত ভঙ্গ করে দেশের শপিংমল থেকে শুরু করে গ্রামের মুদি দোকান পর্যন্ত সরবরাহ করছে। এতে দেশের তরুণ সমাজ মদ পান করে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।

বাবুলের এসব মাদকের ছোবলে দেশের ৬০০ জন তরুন প্রাণ ইতোমধ্যে ঝরে পড়েছে। ভবিষ্যতে যাতে আর কোনো প্রাণ না যায়, এজন্য এখন থেকে বাবুলের এসব পণ্য তরুণ সমাজ বর্জন করবে বলে আমরা আশা করি। ইহুদি নাসারাদের এদেশের এজেন্ট যমুনা গ্রুপের বাবুল তার প্রতিষ্ঠানে মাদক দ্রব্য বিক্রি করে যুব সমাজকে নেশাগ্রস্ত করে আল্লাহর দ্বীনকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছেন।

এসব অপকর্মের হাতিয়ার হিসেবে হলুদ সাংবাদিকতার প্রতীক দৈনিক যুগান্তর পত্রিকাটিকে ব্যবহার করছেন। সরকারকে হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে এসব মদ বিয়ার দেশের আনাচে কানাচে বাজারজাত করে অবৈধ সম্পদের অঢেল পাহাড় গড়েছেন।

এদিকে যুমনা ফিউচার নামে এক আজগুবি মাকের্ট, ইহুদিদের অাদলে ম্যারিয়েট হোটেল, যমুনা টেলিভিশন, ভবন এবং শিশু বিনোদনের রাইডার পার্ক বানাতে গিয়ে জোরপূর্বক এলাকাবাসীদের উচ্ছেদের নামে শুধু তাদের হকই নষ্ট করেননি, একইসঙ্গে অবৈধ কাজ করতে গিয়ে বহু বছর আগেই প্রতিষ্ঠিত জামে মসজিদ ধ্বংস করেছেন। বিনোদনের নামে কবরস্থানের ওপর মদ জুয়ার আসর বসিয়েছেন। খোদাদ্রোহী এই পাপিষ্ঠ তার কথিত বিশাল মার্কেটের ভেতরে দু’টি বৃহৎ পরিসরে মদের বার বানিয়ে মার্কেটটিকে নারী ও শিশুদের জন্য আরো বিপদজনক ও ভয়াবহ করে তুলেছেন।

কুখ্যাত ডেড সি (মৃত সাগর) যেমন জর্ডানে ভূমিতে  আল্লাহর গজবেরর নির্দশন, তেমনি বিশ্বজুড়ে মসজিদের নগরী হিসেবে বিখ্যাত বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বুকে সেই মসজিদ ধ্বংস করেই তিনি মার্কেট, মদের হোটেল, মদের বারসহ নানামুখী ইসলামবিরোধী অপকর্ম চালিয়ে এটিকেও একই ধরনের গজবের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছেন। সেই ভয়াবহ গজব এই মার্কেটর ওপর নেমে আসতে পারে বলে বিশিষ্ট আলেম, পীর ও মাশায়েখরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

লিফলেটে ইসলামীবিরোধী এসব অপতৎপরতা ও কুফরি কর্মকাণ্ডের মূল নায়ক বাবুলকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও যুমনা গ্রপের সমস্ত কাযত্রুম অবৈধ ঘোষণা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.