ওসামা বিন লাদেনের হত্যার আট বছর আগে পাকিস্তানে তাঁর অবস্থান সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোকে (এফবিআই) অবহিত করেছিলেন বলে দাবি করেছেন টম লি নামের এক মার্কিন ব্যবসায়ী। লাদেনের সন্ধানদাতা হিসেবে আড়াই কোটি ডলার পুরস্কারও দাবি করেছেন তিনি।
২০১১ সালের ২ মে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে কমান্ডো অভিযান চালিয়ে আল-কায়েদার সাবেক প্রধান ওসামাকে হত্যা করে মার্কিন বাহিনী। ওসামা পাকিস্তানের একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটির কাছের এক বাড়িতে দীর্ঘ সময় ধরে আত্মগোপনে ছিলেন। পাকিস্তানকে না জানিয়েই দেশটির ভেতরে ঢুকে অভিযান চালায় মার্কিন কমান্ডোরা।
টম লির প্রতিনিধিত্বকারী শিকাগোভিত্তিক একটি আইনবিষয়ক প্রতিষ্ঠান গত আগস্টে এফবিআইয়ের পরিচালক জেমস কমিকে চিঠি লিখে দাবি করেছে, ২০০৩ সালে অ্যাবোটাবাদের ওই বাড়িতে লাদেন ও তাঁর পরিবারের অবস্থান সম্পর্কে এফবিআইকে তথ্য দিয়েছিলেন লি। চিঠিতে বলা হয়, পাকিস্তানি একজন এজেন্টের কাছ থেকে জেনে লাদেনের অবস্থান সম্পর্কে এফবিআইয়ের কর্মকর্তাদের অবহিত করেন ওই মার্কিন ব্যবসায়ী।
ব্রিটিশ দৈনিক ‘দ্য টেলিগ্রাফ’-এর খবরে বলা হয়, নিজেকে ওসামার সন্ধানদাতা দাবি করে বেশ কয়েকবার অর্থপুরস্কার চেয়েছেন লি। তবে এফবিআই একবারও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। এফবিআইয়ের এ নীরবতায় যারপরনাই বিরক্ত টম লি।
গতকাল শুক্রবার এক ই-মেইল বার্তায় লি বলেন, ‘আমি বিরক্ত। আমি মনে করি, সব মার্কিন নাগরিকই ব্যাপারটা নিয়ে বিরক্ত। ২০০৩ লাদেন যে বাড়িতে ছিলেন, সেই জায়গাটার কথা আমি এফবিআইকে অবহিত করেছিলাম। অথচ তারা তাঁকে আরও আট বছর বাঁচতে দিল। আমি জানি না, সরকার কেন নীরব থেকে আমাকে অপেক্ষায় রেখেছে।
’
লির দাবির সঙ্গে অবশ্য বাস্তবতার মিল নেই। মার্কিন কর্মকর্তারা এর আগে জানিয়েছিলেন, ২০০৫ সালের আগে অ্যাবোটাবাদের ওই বাড়ি নির্মিত হয়নি। লাদেনের একজন স্ত্রীও পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় জানিয়েছিলেন, ২০০৬ সালে বাড়িটিতে উঠেছিলেন তাঁরা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।