‘ও একটা কাপুরুষ। ওর নাম আমি মুখেও আনতে চাই না। ’ সার্জিও আগুয়েরো সম্পর্কে ডিয়েগো ম্যারাডোনার এই বক্তব্যই বলে দিচ্ছে, সাবেক জামাইয়ের ওপর কতটা চটে আছেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। ম্যারাডোনার মেয়ে জিয়ান্নিনার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠকে আগুয়েরোর কিছু মন্তব্যই ম্যারাডোনার যত রাগের কারণ। তবে বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে সংবাদমাধ্যমে কিছু না বলতে ম্যারাডোনাকে অনুরোধ করলেন আগুয়েরো।
এতে দুই পরিবারের ভাবমূর্তিই ক্ষুণ্ন হবে বলে মন্তব্য করেছেন ম্যানচেস্টার সিটি স্ট্রাইকার।
ম্যারাডোনা রেডিও সাক্ষাত্কারে ক্ষোভ উগড়ে দেওয়ার পর নিজের ফেসবুক পেজে আগুয়েরো সরাসরি ম্যারাডোনার নাম উল্লেখ না করে বলেছেন, ‘আমার মনে একটা জিনিস সব সময়ই পরিষ্কার ছিল, আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো বেঞ্জামিন (আগুয়েরো-জিয়ান্নিনার চার বছর বয়সী ছেলে)। ও সবার আগে, এরপর বাকি সব। আমি আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কখনোই মিডিয়ায় কথা বলিনি। এ কারণে সবাইকে অনুরোধ করছি, আপনি যতটাই ক্ষুব্ধ হয়ে থাকুন না কেন, সংবাদমাধ্যমে কিছু বলবেন না।
’
সংবাদমাধ্যমের একটি অংশ বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা করে কাটতি বাড়াতে চাইবে বলেও পরোক্ষে মন্তব্য করেছেন আগুয়েরো, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি কখনোই কথা বলিনি। এবার যে বলছি, এটাও শেষবারের মতো বলা। আমি আশা করব, বিষয়টির সঙ্গে জড়িত সব পক্ষই একই কাজ করবে। আমাদের সবার জন্য, বিশেষ করে বেনের জন্য এই বিষয়টির সুরাহা আমাদের ব্যক্তিগতভাবেই করতে হবে। আমি সব সময়ই তা করে এসেছি, আগামী দিনেও করব।
’
ব্যক্তিজীবনের ঝড়ের ছাপ অবশ্য আগুয়েরোর খেলাতে নেই। সিটির হয়ে প্রিমিয়ার লিগে আট ম্যাচে সাতটি গোল করেছেন এই স্ট্রাইকার। গত সপ্তাহে চেলসির বিপক্ষে হেরে যাওয়া ম্যাচটিতেও করেছিলেন গোল।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।