আমি বাংলাদেশকে ভালবাসি
৮৬’র বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার সেই ‘হ্যান্ড অব গড’পিটার শিলটনকে মনে আছে? ইংল্যান্ডের হয়ে ১২৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা সেই গোলরক্ষক? ঈগলের মতো দৃষ্টি ছিল যাঁর। গোলপোস্টে যিনি দাঁড়ালে ভরসা পেতো ইংলিশরা। ইংল্যান্ডের পক্ষে সবচেয়ে বেশিবার আন্তর্জাতিক ম্যাচে মাঠে নামা এই কিংবদন্তি গোলরক্ষক ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে ডিয়েগো ম্যারাডোনার ‘হ্যান্ড অব গড’ গোলের স্বাক্ষী। সেই গোলটি এখনো তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায় শিলটনকে। তিনি পীড়িত হন এই ভেবে যে ম্যারাডোনা কোনোদিনই ওই গোলটির জন্য প্রকাশ্যে দুঃখ প্রকাশ করেননি।
১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা ও ইংল্যান্ড। ওই ম্যাচে ম্যারাডোনার জোড়া গোলে আর্জেন্টিনা ২-১ গোলে জিতে বিশ্বকাপ থেকে ইংলিশদের বিদায় করে দিয়েছিল। ম্যারাডোনার দুটি গোলই ছিল ইতিহাস। হাত দিয়ে প্রথম গোলটি ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে বিতর্কিত গোল। রেফারির চোখ এড়িয়ে গেলেও সেদিন ম্যারাডোনাকে খুব কাছ থেকে ওই গোলটি করতে দেখেছিলেন তিনি।
অপর গোলটি সর্বকালের সেরাই। প্রায় মধ্যমাঠ থেকে বল নিয়ে একে একে বেশ কয়েকজন ইংলিশ খেলোয়াড়কে কাটিয়ে গোলে বল ঠেলে দিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। দ্বিতীয় গোলটি নিয়ে ম্যারাডোনার প্রতি শিলটনের শ্রদ্ধা থাকলেও হাত দিয়ে করা প্রথম গোলটির জন্য তিনি ম্যারাডোনাকে কোনো দিনই ক্ষমা করতে পারেননি সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ইংলিশ গোলরক্ষক।
নিজের মর্মপীড়ার ব্যাপারে এত বছর পরেও দারুণ অকপট শিলটন, ‘কোনো সন্দেহ নেই, আমি যতো খেলোয়াড়ের বিপক্ষে খেলেছি, ম্যারাডোনা তাদের মধ্যে সেরা। কিন্তু এই একটি ব্যাপারেই ম্যারাডোনা চরম অখেলোয়াড়ী মনোভাবের পরিচয় দিয়েছেন।
’
খেলার মাঠে ‘প্রতারণা’ নিয়ে শিলটনের অবশ্য নিজস্ব একটা মতামত আছে, ‘খেলার মাঠে আমি অনেককেই প্রতারণার আশ্রয় নিতে দেখেছি। অনেক গোলরক্ষকই গোললাইনের ভেতর থেকে বল ফিরিয়ে চেপে যায়। কিন্তু খেলার পর আবার অনেকেই এজন্য দুঃখ প্রকাশ করে। ম্যারাডোনা এত বড় একটা প্রতারণা করেছেন কিন্তু তিনি কোনো দিন দুঃখ প্রকাশ করে এ সম্পর্কে একটা কথাও বলেননি।
এরপরই তিনি জানিয়েছেন নিজের একটা ছোট্ট প্রত্যাশার কথা, ‘আমি খুবই খুশি হতাম, যদি ম্যারাডোনা কোনো দিন ইংল্যান্ডে এসে ব্যাপারটির জন্য দুঃখ প্রকাশ করতেন।
জানি তেমনটা কখনোই ঘটবে না। ’
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।