তিব্বতিদের নির্বাসিত আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামার কণ্ঠ ‘মুছে ফেলার’ লক্ষ্য নিয়েছে চীন। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে তিব্বতিরা যাতে ইন্টারনেট, টেলিভিশন বা অন্য কোনো উপায়ে দালাই লামার কোনো ‘প্রচারণা’ পেতে না পারে, তা নিশ্চিত করা হবে। চীনের একজন শীর্ষস্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন।
দালাই লামা এবং তিব্বতের নির্বাসিত সরকারসংক্রান্ত বাইরে থেকে প্রচারিত কোনো তথ্য যাতে তিব্বতিদের কাছে না পৌঁছাতে পারে, সে জন্য নানা উপায়ে প্রচেষ্টা চালিয়েছে চীন। কিছু ক্ষেত্রে তারা সফলও হয়েছে।
তবে অনেক তিব্বতির কাছেই এখনো এ ধরনের সংবাদ পৌঁছে যাচ্ছে। অবৈধ স্যাটেলাইট টেলিভিশনের মাধ্যমে বা হয় চীন সরকারের ইন্টারনেট কড়াকড়ির ফাঁকফোকর বের করে তারা খবরগুলো সংগ্রহ করে।
চীনের ক্ষমতাসীন দল কমিউনিস্ট পার্টির প্রভাবশালী সাময়িকী কুইশি-এর সর্বশেষ যে সংস্করণটি গতকাল শনিবার গ্রাহকেরা হাতে পেয়েছে, তাতে একটি লেখা ছাপা হয়েছে। এটি লিখেছেন তিব্বতে কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান শেন কুয়াংগুয়ো। তিনি বলেছেন, তিব্বতে যাতে কেবল সরকারের কণ্ঠ শোনা যায়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করবে স্থানীয় সরকার।
শেন কুয়াংগুয়ো জানিয়েছেন, সরকার এ জন্য অবৈধ স্যাটেলাইট সংযোগ বাজেয়াপ্ত করা ও অনলাইনে নজরদারি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
হিমালয়ের কোলের ভূখণ্ড তিব্বতে চীনা শাসনের বিরুদ্ধে ব্যর্থ আন্দোলনের পর ১৯৫৯ সালে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন দালাই লামা। তাঁকে ‘বন্ধুবেশী শত্রু’ আখ্যা দিয়েছে চীন। তবে দালাই লামা বলে থাকেন, তিনি তিব্বতের স্বাধীনতার দাবি আর করেন না। কেবল সত্যিকারের স্বায়ত্তশাসন চান।
সহিংসতায় সম্পৃক্ততার অভিযোগও অস্বীকার করে আসছেন তিনি। রয়টার্স।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।