রহস্যের কিনারা করতে তৈরি হয়েছে নতুন সমস্যা। আর তা হলো 'স্পেস ডেবরি'। পৃথিবীর জঞ্জাল নিয়েই নাজেহাল সবাই। এই স্পেসের জঞ্জালও এখন মাথাব্যথার কারণ। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ঘিরে রয়েছে এই স্পেস ডেবরি।
বিগত কয়েক দশকে আমরা নানা কারণে স্পেসে পাঠিয়েছি বিস্তর স্যাটেলাইট বা উপগ্রহ। বানিয়েছি স্পেস স্টেশন। মহাকাশযান ওড়াতে ছুঁড়েছি রকেট। স্পেসে পাড়ি দিয়েছি মহাকাশযানে। কিন্তু একটা সময়ের পর এই যান বিকল হয়ে পড়ায় বেধেছে যত কাণ্ড।
এই মুহূর্তে এমনি এক স্যাটেলাইট নিয়ে ঘুম চলে গেছে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার। ২০০৯ সালে গ্র্যাভিটি ওশন্ সার্কুলেশন এঙ্প্লোরার (জিওসিই) নামে ওই উপগ্রহটি স্থাপন করা হয়েছিল। তবে তার জ্বালানি দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়ায় মাথায় হাত বিজ্ঞানীদের। জ্বালানি শেষ হয়ে গেলেই থমকে যাবে জিওসিই। আর তারপর? বহু বছর ধরে এমন বহু বিকল স্যাটেলাইট, ভেঙে পড়া রকেটের অংশ, খারাপ হয়ে যাওয়া কলকব্জার সংঘাত তৈরি করেছে মহাকাশের জঞ্জাল।
এদের মধ্যেই চলেছে দক্ষযক্ষ কাণ্ড। ধ্বংসাবশেষের আস্তরণ পৃথিবীকে ঘিরেই ঘুরপাক খেয়ে চলছে। আর ক্রমশ হয়ে উঠছে চিন্তার কারণ। ১৯৯৬ সালে ফ্রান্সের একটি স্যাটেলাইট ধাক্কা মারে সে দেশের এক ভাঙা রকেটকে। এই রকেট মহাকাশে বিকল হয়ে পড়েছিল প্রায় ১০ বছর ধরে।
২০০৯ সালে চীন তাদের বিকল উপগ্রহ নষ্ট করতে বাধালো একই সমস্যা। স্পেস ডেবরির জিম্মায় জুড়ে আরও তিন হাজার ভগ্নখণ্ড। ২০০৯ সালে রাশিয়ার একটি বিকল উপগ্রহ নষ্ট করে দেয় আমেরিকার নিজস্ব একটি স্যাটেলাইটকে। * ইনফো ডেস্ক
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।