রাসেল মাহমুদ জিমি, জাহিদ হোসেন ও ইমরান হাসান পিন্টুকে ৩ বছরের জন্য জাতীয় দল থেকে এবং ২ বছরের জন্য ঘরোয়া হকি থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। আর কামরুজ্জামার রানাকে ২ বছরের জন্য জাতীয় দল থেকে এবং এক বছরের জন্য ঘরোয়া হকি থেকে নিষিদ্ধ করা হয়।
একই অভিযোগে আর দেশীয় কোচ মাহবুব হারুণকে জাতীয় দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। আম্পায়ার সেলিম লাকিকে কোনো শাস্তি দেয়া হয়নি।
সোমবার রাজধানীর বিমান বাহিনীর ফেলকন হলে অনুষ্ঠিত ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
হকি ফেডারেশনের সভাপতি ও বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল ইনামুল বারী সভা শেষে বলেন, “এশিয়া কাপ হকি টুর্নামেন্টে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় তাদের বিপক্ষে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটি, বিদেশী কোচ এবং ব্যবস্থাপকের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ”
“হকিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়া আনা ও সঠিক পথে নিয়ে আসার জন্যই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দীর্ঘ চার ঘণ্টার এই সভায় সর্বসম্মতিক্রমেই এই সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়”, যোগ করেন ফেডারেশনের সভাপতি।
শাস্তির কথা শুনে রাসেল মাহমুদ জিমি বলেন, “আমার বিপক্ষে আনা অভিযোগগুলো প্রমানিত হয়নি।
প্রমান না করেই শাস্তি দেয়া হয়েছে। তা আসলে একটা সাজানো নাটক। ”
আর জাহিদ হোসন বলেন, “আমাদের যে শাস্তি দেয়া হবে, এটা আগেই সাজানো ছিল। এখন তা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এটা আমাদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে।
”
গত সেপ্টেম্বরে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে বাংলাদেশ আট দলের মধ্যে সপ্তম হয়। আর ৫ ম্যাচের মধ্যে ৪ টিতে হেরেছে তারা, জিতেছে একটিতে।
এদিকে সভার আগে স্কুল হকি প্রতিযোগিতার লোগো উন্মোচন করা হয়। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০২ টি দল নিয়ে মাঠে গড়াবে স্কুল হকি প্রতিযোগিতা। খেলা হবে দেশের দশটি ভেন্যুতে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।