১৮ দলের ডাকা টানা ৬০ ঘণ্টা হরতালের প্রথম দিনে গতকাল গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা ও সালনায় তিনটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র এক শিশু দগ্ধ হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল পৌনে ১০টার দিকে হরতাল সমর্থকরা ঢাকা-গাজীপুর মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কাভার্ড ভ্যান ও একটি টেম্পোতে অতর্কিতে ভাঙচুর করে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় কাভার্ড ভ্যানের চালকের আসনের পাশে ঘুমিয়ে থাকা শিশু মনিরুজ্জামান মনির (১৪) অগ্নিদগ্ধ হয়।
খবর পেয়ে স্থানীয় জনতা ও পুলিশ এসে জলকামান দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন সম্পূর্ণ নিভায়। গুরুতর আহত মনিরুজ্জামানকে প্রথমে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আগুনে তার শরীরের বেশির ভাগ অংশ ঝলসে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসক জানান।
অগ্নিদগ্ধে আহত শিশুর বাবা রমজান আলী জানান, তার ছেলে মনির কালিয়াকৈর উপজেলার চাপাইর ইউনিয়ন বড়কাঞ্চনপুর গ্রামের স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে। রবিবার দিবাগত রাতে মনির তার বাবার সঙ্গে কাভার্ড ভ্যানে করে ঢাকায় গিয়েছিল। রাত ৩টার দিকে কাভার্ড ভ্যানে কসমেটিক মালামাল ভরে ভোর ৪টার দিকে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় পৌঁছে। এখানে এসে মালামাল আনলোড করা হয়। হরতালের কারণে কাভার্ড ভ্যানটি কালিয়াকৈর না নিয়ে চান্দনা চৌরাস্তার পাশে নিরাপদ স্থান মনে করে চালক দাঁড় করে রাখে।
সকালে তিনি কাভার্ড ভ্যানের চালকের আসনের পাশে ছেলেকে ঘুমিয়ে রেখে নাস্তা খেতে পাশের হোটেলে যান। এ সময় হরতালকারীরা তার গাড়িতে অগি্নসংযোগ করলে মনির অগ্নিদগ্ধ হয়। ছেলে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় কাভার্ড ভ্যানে থেকে নেমে আসে। এ কথা বলতে বলতে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এদিকে গাজীপুর মহাসড়কের সালনা এলাকায় একটি পোশাক কারখানার কর্মকর্তাবাহী একটি মাইক্রোবাসে অগি্নসংযোগ করে হরতালকারীরা।
এ সময় কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এ ছাড়া শহরের বাসস্ট্যান্ড, জোড়পুকুর, শিববাড়ী মোড়, বাসন সড়ক এলাকাসহ বেশ কিছু জায়গায় ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পিকেটাররা আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।