আসামি ৮৫০। ফাঁসির আদেশ ১৫২ জনের। ১৬১ জনের যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে ৫৬৯ জনের। বিচার চলাকালে মারা গেছেন চারজন। শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসে নয়, গোটা বিশ্বের ফৌজদারি মামলার ইতিহাসে পিলখানা হত্যা মামলা হয়তো নজির হয়ে থাকবে।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে (বর্তমানে বিজিবি) বিদ্রোহের ঘটনায় নিহত হন ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন। গতকাল মঙ্গলবার এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণার শুরুতে বিচারক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আসামির সংখ্যার দিক থেকে এটি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হত্যা মামলা।
প্রথম আলোর পক্ষ থেকে অনুসন্ধান চালিয়ে বিশ্বে একটি একক হত্যা মামলায় এই বিপুলসংখ্যক আসামির উপস্থিতি খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে প্রথম আলো একাধিক আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছে। আইনজীবীরাও জানিয়েছেন, এত বিপুলসংখ্যক আসামি এবং এক মামলায় মৃত্যুদণ্ডসহ এতজনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা আর কোনো মামলায় হয়েছে কি না, এটা তাঁদের জানা নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আইনজীবী বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলায় হরতালে ভাঙচুর বা এ ধরনের মামলায় পাঁচজন আসামির নামের সঙ্গে আরও অজ্ঞাতনামা দুই-তিন হাজারকে আসামি করা হয়। কিন্তু অভিযোগপত্র দাখিলের পর সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে রায় ঘোষণার দিক থেকে এটাই সবচেয়ে বড় মামলা।
রায়ের পর সরকার ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরাও জানিয়েছেন, দেশের ইতিহাসে একটি একক মামলায় এটিই সর্বোচ্চসংখ্যক ফাঁসির আদেশ। তবে তাঁরা বলেছেন, সামরিক বা মার্শাল কোর্টগুলো এর বাইরে থাকবে। কারণ সেটি উন্মুক্ত বিচার নয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।