পিলখানা হত্যা মামলায় বিএনপির নেতা সাবেক সাংসদ নাসির উদ্দীন আহম্মেদ পিন্টু ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা তোরাব আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। হত্যা মামলার বিচারে গঠিত বিশেষ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান গতকাল মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে আদালত বলেন, ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যার দায়ে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় পিন্টু ও তোরাবকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হলো। জরিমানা অনাদায়ে তাঁদের আরও পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
এ ছাড়া পিলখানার অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের দায়ে পিন্টু ও তোরাবকে আরও ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
রায়ে বলা হয়, সাজা একটির পর আরেকটি চলবে।
বাংলাদেশের জেলকোড অনুসারে যাবজ্জীবন সাজার মেয়াদ ৩০ বছর। এর সঙ্গে ১০ বছরের কারাদণ্ড যোগ করে মোট ৪০ বছর কারাদণ্ড খাটতে হবে পিন্টু ও তোরাব আলীকে।
গতকাল রায় ঘোষণার সময় পিন্টু ও তোরাবকে এজলাসে হাজির করা হয়। আসামির কাঠগড়ায় পিন্টু চুপচাপ বসে ছিলেন, তবে একসময় তিনি আসামির কাঠগড়ায় বসেই নামাজ পড়েন।
রায় ঘোষণার পর পুলিশ সদস্যরা যখন তাঁকে ধরে প্রিজন ভ্যানে নিয়ে তুলছিলেন, তিনি হাত দিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এরপর তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে হাত নাড়েন, তারপর নিজেই হেঁটে প্রিজন ভ্যানে ওঠেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।