গুয়েতেমালায় ১৯৬০ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত চলা গৃহযুদ্ধ চলাকালে ওফেলিয়া ও ভাই আভিলিও থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এলসিরা । এরপর পেরিয়ে গেছে ৩১টি বছর। দেড় কুড়ি বছর পর সম্প্রতি ফেসবুক মিলিয়ে দিল এই হারানো বোনকে।
হারিয়ে যাবার সময় এলসিরার বয়স ছিল মাত্র চার। হন্ডুরাসের একটি পরিবার দত্তক নেয় মা-বাবা, ভাই-বোন হারানো কন্যাশিশুটির।
সেই ছোট্ট শিশুটির বয়স এখন ৩৫ বছর। সান পেদ্রো সুলায় নার্সিং নিয়ে পড়ালেখা শেষে বিয়ে করে ওখানেই সংসার পেতেছেন তিনি। সম্প্রতি ফেসবুকে ভাই-বোনের ছবি দেখে চিনতে পারেন এলসিরা। এরপরই রক্তের টানে খুঁজে নেন হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের।
তবে বিচ্ছিন্ন ভাই-বোনদের খুঁজে পেতে মিউচুয়াল সাপোর্ট গ্রুপ নামের সংস্থাটির অবদানও কম নয়।
এই সংস্থাটিই নথিপত্র ঘেটে পরিবারের হারিয়ে যাওয়া আরেক সদস্য বোন ক্রিসেরিওর সঙ্গে আভিলিও’র পুনর্মিলনে সহায়তা করেছিল। আর সেই মিলন আনন্দের ছবি ফেসবুকে শেয়ার থেকেই সন্ধান মিলল আরেক বোনের।
এদের পুনর্মিলনের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করার পর এলসিরা তার ভাইদের চিনতে পারেন এবং তৎক্ষণাৎ সাহায্যের জন্য মিউচুয়াল সাপোর্ট গ্রুপের শরণাপন্ন হন। দুই বোন ও এক ভাইকে ফিরে পেয়ে আনন্দিত এলসিরা বলেন, আজ আমার মতো খুশি কেউ না। এরা মূলত সাত-ভাই বোন।
তাদের আরো তিন ভাই বোন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। এরা হলেন ভিক্টর, এস্টেলা ও ইউবার্তা।
মিউচুয়াল সাপোর্ট গ্রুপের কর্মী এনরিক বারেরা বলেন, সংস্থার সদর দপ্তরে চার ভাই-বোনের পুনর্মিলনের এই আবেগঘন ঘটনাটি ঘটে। সুদীর্ঘ তিন দশকেরও বেশি সময় পর পুনরায় এক সঙ্গে হতে পেরে সবার চোখ আনন্দাশ্রুতে সিক্ত হয়ে ওঠে। সূত্র: এএফপি
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।