পাগলামী
মানব শরীরের অভ্যন্তরীন বিভিন্ন অর্গানের মধ্যে কিডনি এক অতিব গুরুত্ত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে চলেছে প্রতিনিয়ত। এবং এ ব্যাপারে আমাদের যথেষ্ট সচেতন থাকা উচিত সুস্থ জীবন যাপনের জন্য। নীচের তথ্যগুলো থেকে জেনে নেয়া যাকঃ
►মানুষের দুটো কিডনি প্রতিদিন প্রায় ১৭০ লিটার রক্ত পরিশোধিত করে শরীরকে সুস্থ রাখে?
►দুটো কিডনিতে প্রায় ২০-২৫ লাখ ছাঁকনি রয়েছে, যা অনবরত রক্তকে পরিশোধিত করে যাচ্ছে।
►কিডনি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে এবং অস্থি শক্তিশালী করে থাকে। ...
►শরীর সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখার জন্য একটি কিডনিই যথেষ্ট।
►কিডনির প্রধান রোগ নেফ্রাইটিস বা নেফ্রোটিক সিনড্রম, যা কিডনির ছাঁকনি বা ফিলটার মেমব্রেনকে ক্ষতবিক্ষত করে। এর কারণে শরীর থেকে অত্যাবশ্যকীয় প্রোটিন বেরিয়ে যায়।
►প্রস্রাব প্রদাহ কিডনির একটি সাধারণ রোগ হলেও শিশুদের ক্ষেত্রে মারাত্মক হতে পারে।
►ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ কিডনি রোগ নয়, তবু কিডনিকে আক্রান্ত করে কিডনির কার্যকারিতা কমিয়ে মারাত্মক জটিলতার সৃষ্টি করে।
►যেসব রোগ কিডনিকে আক্রান্ত করে কিডনির কার্যকারিতা বিনষ্ট করে বা কিডনি ফেইলিয়র হয় এদের মধ্যে ১. নেফ্রাইটিস ২. ডায়াবেটিস এবং ৩. উচ্চ রক্তচাপ।
সুতরাং প্রাথমিক পর্যায়ে এসব রোগের চিকিত্সায় যত্নবান হন।
►দুটো কিডনি ৯০ ভাগ অকেজো হওয়ার পরই কেবল ডায়ালাইসিস বা কিডনি সংযোজনের মতো চিকিত্সার প্রয়োজন হয়।
►জীবিত অবস্থায় আপনি আপনার একটি কিডনি কেবল বাবা-মা, ভাই-বোন, ছেলে-মেয়েকে নির্ভয়ে দান করতে পারেন। এদের ভেতর রক্তের গ্রুপ বা টিস্যু টাইপ না মিললে তখন আপন চাচা, মামা, ফুফু, খালা বা স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে কিডনি দান করতে পারেন।
►মৃত ব্যক্তি (ব্রেনডেথ-ভেন্টিলেটরে থাকা অবস্থায়), আত্মীয়-অনাত্মীয় সবাইকে কিডনি দান করতে পারে।
►আকস্মিক কিডনি বিকল রোগে তাত্ক্ষণিক চিকিত্সা অনেক রোগীকে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দিতে পারে।
►অতিরিক্ত ডায়রিয়া, বমি ও রক্তক্ষরণ আকস্মিক কিডনি বিকল হওয়ার প্রধান কারণ।
►মেয়েদের গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপ পরবর্তী পর্যায়ে কিডনি রোগের কারণ হতে পারে।
এবং বিজ্ঞান প্রতিনিয়ত আরও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে আরও স্পষ্ট ও পরিস্কার ধারনা পাওয়ার আশায় এবং চিকিৎসা সহজ ও স্বল্প ব্যয়ে নামিয়ে নেয়ার নিমিত্তে।
(বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সংগৃহিত)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।