আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিরিজ নিয়ে সিরিজ শেষে

টি-টোয়েন্টিটা হারতে হয়েছে। শেষের এই অতৃপ্তিটুকু মনে রেখেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটি বাংলাদেশের ক্রিকেটে স্মরণীয় এক অধ্যায় হয়েই থাকবে। প্রথম আলোর অনুরোধে বাংলাদেশ দলের চার খেলোয়াড় ও নির্বাচক হাবিবুল বাশার সিরিজটির দিকে ফিরে তাকিয়ে আপ্লুত হলেন আবারও।
স্মরণীয় মুহূর্ত
মুশফিকুর রহিম: শেষ ম্যাচটাতে ৩০৭ রান তাড়া করে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের ওই মুহূর্ত। এর আগেই আমরা সিরিজ জিতেছি।

তার পরও হোয়াইটওয়াশ ইজ হোয়াইটওয়াশ।
মাশরাফি বিন মুর্তজা: তৃতীয় ওয়ানডেতে ৩০৭ রান তাড়া করে জেতা। কেউ ভাবেনি, বাংলাদেশ দলের পক্ষে এটাও সম্ভব।
আবদুর রাজ্জাক: রুবেলের হ্যাটট্রিকের মুহূর্ত। শুধু হ্যাটট্রিক না, ওই স্পেলটার কথাই বলব আমি।

বিশ্বের অনেক বড় বড় বোলারের জীবনেও এ রকম ঘটনা এক-দুবারই ঘটে।
তামিম ইকবাল: রুবেলের হ্যাটট্রিক। কারণ ওই সময় ম্যাচটা আমাদের হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছিল। ওর ওই তিন বলে ম্যাচ ঘুরে গেছে।
হাবিবুল বাশার: প্রথম ওয়ানডেতে রুবেলের সেই ভয়ংকর স্পেল।

৩.৫ ওভারের যে স্পেলে ১২ রান দিয়ে হ্যাটট্রিকসহ ওর ৫ উইকেট।
সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি
মুশফিকুর: দল হিসেবে কীভাবে ভালো খেলতে হয়, সেটা বুঝতে পারা। আমার মনে হয় এই সিরিজে একজনের অনুভূতি বুঝতে পেরে আরেকজন তাতে সাড়া দিয়েছে।
মাশরাফি: ব্যাটিং অর্ডারে তিন নম্বর ব্যাটসম্যান (মুমিনুল) খুঁজে পাওয়া। সঙ্গে টেস্ট আর ওয়ানডে সিরিজ জয়ের কথাও বলব।


রাজ্জাক: মুমিনুলের ব্যাটিং। তার ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছে সে আসলেই বড় ইনিংস খেলার প্লেয়ার।
তামিম: টেস্ট সিরিজ ড্র করা। দুটি টেস্টেই আমরা ভালো খেলে ড্র করেছি।
হাবিবুল: টেস্ট সিরিজ ড্র করা।

ওয়ানডে সিরিজ জেতাও বড় ব্যাপার। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে পর পর দুটি টেস্ট ভালো খেলে ড্র করাটাকেই বেশি বড় মনে হয় আমার কাছে।
আমার সিরিজ-সেরা
মুশফিকুর: টেস্ট সিরিজে অবশ্যই সোহাগ গাজী। ওয়ানডেতে সন্দেহাতীতভাবেই নাঈম ভাই। আসলে এই সিরিজে কেউ একজন দলকে টেনে নিয়ে যায়নি।

এটা সার্বিকভাবে টিম বাংলাদেশের সাফল্য।
মাশরাফি: টেস্টে মুমিনুল, ওয়ানডেতে নাঈম। দুজনই ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলেছে।
রাজ্জাক: ধারাবাহিক ব্যাটিংয়ের জন্য টেস্টে মুমিনুল। ও-ই এই সিরিজের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার।

আর ওয়ানডেতে মুশফিক।
তামিম: টেস্টে মুমিনুল, ওয়ানডেতে নাঈম ভাই। প্রথম ও তৃতীয় ওয়ানডে জেতায় নাঈম ভাইয়ের ব্যাটিংয়েরই বড় ভূমিকা ছিল।
হাবিবুল: টেস্টে মুমিনুল। অসাধারণ ব্যাটিং করেছে।

আর ওয়ানডের সেরা হতে পারে যে কেউ। একজনকে বাদ দিয়ে আরেকজনের নাম বলা কঠিন।
দলে এখন যা প্রয়োজন
মুশফিকুর: আপাতত তামিম-সাকিবরা তাড়াতাড়ি ফিট হয়ে ফিরে আসুক।
মাশরাফি: আমাদের পেসারদের আরও কিছু জিনিস নিয়ে কাজ করা দরকার। ভালো একটা শুরু বা তাড়াতাড়ি ইনিংসটা শেষ করে দেওয়া—এসব ক্ষেত্রে পেসারদের আরও ভূমিকা রাখতে হবে।


রাজ্জাক: বোলিংয়ে আরেকটু উন্নতি করার আছে, সেটা পেস-স্পিন দুই বিভাগেই। টি-টোয়েন্টির প্রথম ছয় ওভার, পাওয়ার প্লে, স্লগ ওভারের বোলিংয়ে এখনো পিছিয়ে আছি আমরা।
তামিম: প্রতিকূল পরিস্থিতিতে লড়াই করার মানসিকতা। আমরা সব সময় নিজেদের মাঠে খেলব না, স্পিন উইকেট পাব না বা কন্ডিশন আমাদের পক্ষে থাকবে না। তখনো যেন আমরা ভালো খেলতে পারি।


হাবিবুল: ফিল্ডিংয়ে উন্নতি করা। আমাদের ছেলেরা যে পরিমাণ পরিশ্রম করে, তাতে এই দলটা বিশ্বের সেরা ফিল্ডিং দল হতে পারে।


   

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.