অনুভুতিহীন জীবনের অপেক্ষায়... http://www.raatmojur.com/
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বড় কাঞ্চনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র মনির হোসেন। বাবা কাভার্ড ভ্যানচালক রমজান আলী গত সোমবার ঢাকার সোয়ারীঘাট থেকে পণ্য নিয়ে গাজীপুর বাজারে যান। ছেলেকে একটু বেড়িয়ে আনবেন, এমন আশাতেই ছেলেকে সঙ্গী করেছিলেন। গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তার কাছে ভ্যানটি রেখে ভেতরে যাবার সময় গাড়িতে রেখে যান প্রাণের পুত্রকে। এমন সময় মূর্তিমান যমদূত হয়ে এলো বিএনপি আর যুদ্ধাপরাধী জামাতশিবিরের ডাকা ৬০ ঘন্টা হরতালের সমর্থনে রাজপথে সক্রিয় কিছু পিকেটার! মনির হোসেনকে গাড়ির ভেতরে রেখেই তারা আগুন জ্বালিয়ে দেয় সেই ভ্যানটিতে...
হতভাগ্য পিতা ফ্যালফ্যাল করে শুধু তাকিয়ে দেখলেন আগুনে ঝলসে যাওয়া ছেলে মনির পড়ে আছে অজ্ঞান হয়ে!
পৃথিবীতে অনেক যাদুকরী ঘটনা ঘটে! সেই যাদুর আশাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকরা শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে যাওয়া মনিরকে টানা তিন দিন চিকিৎসা দিয়ে গেছেন! ১৪ শতাংশ পুড়ে গেলেই যেখানে অবস্থা আশঙ্কাজনক বিবেচনা করা হয়, সেখানে ৯৫ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ মনিরকে বাঁচিয়ে রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন ডাক্তাররা। শেষমেশ তারা বুঝতে পারছিলেন যে আর আশা নেই মনিরের বেঁচে থাকার, তখন তারা বলেছিলেন "হোপলেস" ...
টানা তিন দিন পর গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর, ২০১৩) ভোর পৌনে পাঁচটায় কিশোর মনির হোসেন এ পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়।
আমরা জানি এই ইভেন্ট মনিরের বাবার কান্না থামাতে পারবে না, হয়তো এই ইভেন্ট থামাতে পারবে না আসন্ন হরতালগুলোর জ্বালাও-পোড়াও; তবু আমরা আশা করি এই ইভেন্ট আমাদের বিবেক কে জাগ্রত করবে। আমরা নিজেদের বেঁচে থাকার অধিকার নিয়ে সোচ্চার হবো। আর হয়তো এই ইভেন্টের বাস্তবায়ন, পাথর চোখের জননেতাদের (!) একটু হলেও লজ্জা দিতে পারবে!
আমরা চাই আপনারা আমাদের দাবীর সাথে একাত্মতা ঘোষণা করুন... শেয়ার করুন আমাদের দাবী। কেউ যেন একটি নিষ্পাপ শিশুকে পুড়িয়ে মারার দায় থেকে মুক্ত হতে না পারে, আসুন সবাই মিলে তা নিশ্চিত করি...
ফেসবুক ইভেন্ট
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।