পাকিস্তান থেকে এবার বাক্সপেটরা বুঝি গোটাতেই হচ্ছে ডেভ হোয়াটমোরকে। এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হয়নি। তবে আলামত যা পাওয়া যাচ্ছে তাতে এটা মোটামুটি নিশ্চিত, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ব্যর্থতার দায়ভার মাথায় নিয়ে শিগগিরই চাকরি ছেড়ে চলে যেতে হচ্ছে এই অস্ট্রেলীয় কোচকে। খুব সম্ভবত সংযুক্ত আরব আমিরাতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় সিরিজের আগেই নতুন কোচ এসে যাচ্ছেন পাকিস্তান দলে।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নজম শেঠিই হোয়াটমোরকে বিদায় করে দেওয়ার ব্যাপারটি প্রকাশ করেছেন।
পিসিবি নাকি এই মুহূর্তে তাঁর বিদায়ের বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখছে। অর্থাত্ চুক্তির কোনো ফাঁকফোকর দিয়ে হোয়াটমোরের হাতে বরখাস্তের চিঠি ধরিয়ে দেওয়া যাবে, পিসিবি কর্তারা এখন এটি নিয়েই ভাবছেন।
হোয়াটমোরের পাশাপাশি চাকরি হারাচ্ছেন ফিল্ডিং কোচ জুলিয়ান ফাউন্টেনও। তবে হোয়াটমোর ও তাঁর সহকারীদের দুই বছরের চুক্তির মেয়াদ যেহেতু আগামী বছরের শুরুতে শেষ হবে, তাই সে পর্যন্ত অপেক্ষা করার বিষয়েও মত আছে পিসিবিতে। হোয়াটমোর নিজেও নাকি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের অধীনে কাজ করে হাঁপিয়ে উঠেছেন।
জানা গেছে, তিনি নাকি ইতিমধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে নতুন চাকরি নিয়ে কথা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তবে শেঠি জানিয়েছেন, হোয়াটমোরের ভাগ্য নির্ধারিত হবে ১০-১৫ দিনের মধ্যেই। মেয়াদ পূরণ করার দয়াটুকু যদি পিসিবি না দেখায়, তাহলে এতেই শেষ হয়ে যাবে হোয়াটমোরের পাকিস্তান-পর্ব।
অথচ সফল কোচ মহসিন খানকে বাদ দিয়ে কত ঢাকঢোল পিটিয়ে, সার্চ কমিটি গড়ে পাকিস্তানের কোচ করা হয়েছিল হোয়াটমোরকে! কোচ হিসেবে হোয়াটমোরের সাফল্যও অনেক। সবচেয়ে বড় সাফল্য ১৯৯৬ সালে একেবারে গোনার বাইরে থেকে শ্রীলঙ্কাকে বিশ্বকাপ জেতানো।
২০০৩ সালে টেস্ট ক্রিকেটের কঠিন অঙ্গনে বাংলাদেশ যখন ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দী, ঠিক তখনই তিনি টেস্টের নবীনতম দেশটিকে আশার আলো দেখিয়েছেন। ওয়ানডে ক্রিকেটে যে দেশ জিততে জানত না, সেই দেশকেই তিনি দেখিয়েছিল জয়ী হওয়ার পথ। ২০০৭ সালে বাংলাদেশকেই তিনি নিয়ে গিয়েছিলেন বিশ্বকাপের দ্বিতীয় পর্বে।
বিভিন্ন ইংলিশ কাউন্টি দল এমনকি ভারতের একাডেমি দলের কোচ হিসেবেও দাপটের সঙ্গেই কাজ করেছেন শ্রীলঙ্কায় বসবাসকারী এই অস্ট্রেলীয় কোচ। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কোচ হিসেবেও ছিলেন সফল।
প্রত্যাশার চাপ নিয়েই পাকিস্তানে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু এই পর্বে ব্যর্থতার দায়ভারই মাথায় নিতে হচ্ছে তাঁকে। পিটিআই।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।