কারার ঐ লৌহ-কপাট ভেঙ্গে ফেল কর রে লোপাট রক্ত-জমাট শিকল পুজার পাষাণ-বেদী ওরে ও তরুণ ঈশান বাজা তোর প্রলয় বিষাণ ধ্বংস নিশান উড়ুক প্রাচী-র প্রাচীর ভেদি
১ম পর্বের লিঙ্ক
রাজশাহী থেকে কুষ্টিয়া যাবার পথে ঈশ্বরদী স্টেশনে প্রায়ই একটি ছোট ছেলেকে দেখা যায়। দূর থেকে দেখে ছোট ছেলেটাকে খুব হাসি খুশি আর প্রাণবন্ত বলেই মনে হয়। তৃতীয় বার যখন ছেলেটাকে দেখলাম তখন বুঝলাম ছেলেটির হাতের আঙ্গুল মাত্র দুইটি করে এবং ছেলেটির মানসিক বিকাশ কিছুটা বাধাগ্রস্থ বলেই মনে হল। আজ কোন রোগ নিয়ে লিখবো ভাবতে গিয়ে হঠাৎ ওর কথা মনে হল আর তাই ভাবছি আজ ওর রোগটি নিয়েই লিখবো। আজ লেখা হচ্ছে এই সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব।
রোগের নামঃ Ectrodactyly
Ectrodactyly শব্দটি মূলত একটি গ্রীক শব্দ, যার মানে হল আঙ্গুলের বিকৃতি (Abortion of Finger), কোন কোন ক্ষেত্রে আবার বলছে দৈত্যাকৃতির আঙ্গুল (Monstorus Finger)। নামের অর্থ যায় হোক না কেন ফলাফল ইতিমধ্যে আশা করি ধারণা করা হয়ে গেছে, হ্যাঁ ঠিক তাই। এই রোগের ফলে হাত বা পায়ের
মাঝের এক বা একাধিক আঙ্গুল অনুপস্থিত থাকে, যার ফলে হাত চিমটার ন্যায় আকৃতি নেয়। Ectrodactyly অনেক ভাবে অনেক রকম হতে পারে। কখনো দেখা যায় একটি বা দুইটি আঙ্গুল অনুপস্থিত, আঙ্গুল না থাকার দরুন ফাঁকা জায়গা বা খাঁজ সৃষ্টি হতেও পারে নাও পারে।
(এই মুহূর্তে একটি অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে নেওয়া উচিত, হাতে বা পায়ে অতিরিক্ত আঙ্গুলের উপস্থিতিকে Syndactyly বলে। ) Ectrodactyly রোগের আরও কতগুলো নাম আছে lobster-claw syndrome, split-hand or split-foot malformation। এই রোগের এই সমস্যার সাথে আরও কিছু আনুসাঙ্গিক সমস্যা জড়িত থাকতে পারে, তবে সব সময় থাকবে এমন কোন কথা নেই। যেমন কম উচ্চতা, ঠোঁট বা তালু কাটা রোগ, কানে কম শোনার সমস্যা ইত্যাদি। কোন কোন ক্ষেত্রে এই রোগ আরও মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে।
এ রকম একটি অবস্থার নাম "EEC" দ্বারা যার মানে হল E=Ectrodactyly, E=Ectodermal Dysplasia, C= Facial Cleft Syndrome।
Ectodermal Dysplasia মানে হল ভ্রূণের তিনটি কোষ স্তরের মধ্য থেকে সবার বাইরের, এক্টোডার্ম, স্তর থেকে উৎপন্ন যে কোন দুই বা তিনটি জিনিসের অনুপস্থিতি। যেমন হতে পারে চুল, নখ, দাঁত, ঘাম গ্রন্থি ইত্যাদির অনুপস্থিতি।
অপর দিকে Facial Cleft Syndrome হল তালু কাটা রোগ বা ঠোটে এক বা একাধিক জন্মগত কাটা দাগ ( চিত্র দ্রষ্টব্য) ।
এই রোগ আক্রান্ত মানুষের মধ্যে নারী ও পুরুষের অনুপাত প্রায় ১:৫, এই রোগের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল এই রোগে আক্রান্তদের সব সময়ই কনিষ্ঠা আঙ্গুলে কোন সমস্যা হয় না।
ছবি সহ আর কিছু বিস্তারিত লেখা পড়ার জন্য ক্লিক করুন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।