আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আবর্জনায় ভরাট হচ্ছে বুড়িগঙ্গা

সিটি করপোরেশনের ময়লা-আবর্জনায় ভরাট হচ্ছে বুড়িগঙ্গা। প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত টনে টনে আর্বজনা ফেলা হচ্ছে নদীতে। ঢাকার দেড় কোটি মানুষের মল-মূত্রসহ বিভিন্ন কলকারখানা এবং গৃহস্থালীর ১০ হাজার ঘন মিটারের বেশি বর্জ্য প্রতিদিন বুড়িগঙ্গায় নিক্ষিপ্ত হচ্ছে। পরিবেশ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী ঢাকা শহরের গৃহস্থালি ও বিভিন্ন কলকারখানার উৎপাদিত সাত হাজার টনের বেশি বর্জ্যের ৬৩ শতাংশ অপরিশোধিত কঠিন বর্জ্য বিভিন্ন খাল দিয়ে প্রতিদিন নদীতে পড়ছে। আজ বুড়িগঙ্গা নদী রক্ষায় নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ে সভা আহ্বান করা হয়েছে।

দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে নৌ-পরিবহন সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে বুড়িগঙ্গা নদী রক্ষায় সব কিছুই করা হবে।

গতকাল সরেজমিন নদী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সর্বত্রই ময়লা-আর্বজনার ভাড়াড়ে পরিণত হয়েছে। হাজারীবাগ কোম্পানীঘাট-সংলগ্ন শাখা নদীতে আর্বজনা পরিষ্কারের গাড়িতে আর্বজনা ফেলছেন এলাকাবাসী। জানা গেছে, নবগঠিত ডিসিসি এলাকার ৫৫ ও ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের পুরো আর্বজনা ফেলা হচ্ছে নদীর এই অংশে। ওই এলাকার বাসিন্দাদের অনেকে জানান, সিটি করপোরেশন এখনো এই এলাকার আর্বজনা পরিষ্কারের কাজ শুরু করেনি।

কোম্পানীঘাট থেকে কামরাঙ্গীরচর লোহার ব্রিজ পর্যন্ত এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নদীর দুপাশ থেকে চলছে ভরাটযজ্ঞ। ডিসিসির সাবেক ৫৮, ৫৯, ৬০, ৬১, ৬২ ও ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডের নদী-সংলগ্ন এলাকার আর্বজনা পরিষ্কার করে ল্যান্ড ফিলে নেওয়ার পরিবর্তে নদীতে ফেলা হচ্ছে। সরেজমিন আরও দেখা গেছে, ঢাকা শহররক্ষা বেড়িবাঁধ সড়ক-সংলগ্ন নদীর অংশসহ তীর ভরাট করে বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা গড়ে তুলেছেন এলাকাবাসী।

এ ছাড়া নদী-সংলগ্ন একটি ট্রাক স্ট্যান্ড, একাধিক সমিতির কার্যালয় ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সংগঠনের শাখা অফিস গড়ে তোলা হয়েছে। এমন কি নদীর জায়গা দখল করে দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়েছে।

কামরাঙ্গীরচরের রহমতবাগের বাসিন্দা হাজী আবদুল খালেক অভিযোগ করে বলেন, ডিসিসির দায়িত্ব হচ্ছে নদী-খালগুলো দখল-দূষণ থেকে বাঁচানো। ডিসিসি করছে উল্টো কাজ। আর্বজনা পরিষ্কার না করে নদীতে ফেলে দায়িত্ব শেষ করছে। জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকতা কে এম কবীর আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমরা প্রতিদিনের আর্বজনা পরিষ্কারের চেষ্টা করছি। তার পরও কামরাঙ্গীরচরকে আমরা পুরোপুরি আয়ত্তে আনতে পারিনি।

তবে জনবলের সংকট কেটে গেলে পরিবেশ আরও ভালো হয়ে যাবে। আমরা এখনো আমাদের সীমাবদ্ধতাগুলো দূর করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।