রোববার এক ফেইসবুক স্ট্যাটাসে জয় লিখেছেন, “আমাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে যে, এরা প্রত্যেকেই বোমা হামলা পরিকল্পনা করছিলো এবং ককটেল ও বোমা ক্রয়ে অর্থের জোগান দিয়েছে। ”
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দুই সপ্তাহে তিন দিন করে ছয় দিন হরতালের পর শুক্রবার বিকালে আরো ৭২ ঘণ্টার হরতালের ঘোষণা দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ঘোষণার পরপরই গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয় ও বাসা ঘিরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। রাতে কারওয়ানবাজার থেকে গ্রেপ্তার হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার ও রফিকুল ইসলাম মিয়া।
মধ্যরাতে গুলশানে গ্রেপ্তার হন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ব্যবসায়ী নেতা আবদুল আওয়াল মিন্টু এবং খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।
শনিবার এই পাঁচজনকে দুই মামলায় আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানো হয়।
শীর্ষ নেতারা গ্রেপ্তার প্রতিবাদে বুধবারও হরতালের ঘোষণা দেয় বিএনপি।
রোববার পৌণে পাঁচটার দিকে দেওয়া ফেইসবুকের ওই স্ট্যাটাসে জয় আরো লিখেন, “সরকার বেশ কিছু বিএনপি নেতাদের আটক করেছে। সামনের সপ্তাহের হরতালে বোমা হামলা ও অগ্নিসংযোগ সংগঠিত করার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ রয়েছে বলেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ”
“এটা সন্ত্রাসবাদ।
জন মানুষের জীবন এবং সম্পদের নিরাপত্তা দেয়ার খাতিরে সন্ত্রাসীদের তাদের হামলার আগেই থামাতে হবে। এটা তাই, যা আমরা করে দেখিয়েছি। ”
১৮ দলীয় জোটের ডাকা টানা ৮৪ ঘন্টার হরতালের প্রথমদিন এজন্যই বোমা হামলা ও অগ্নিসংযোগ কমে এসেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
“আমরা এই ধরনের হামলা সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করতে সক্ষম হওয়ার আগ পর্যন্ত, যারা যারা এই ধরনের কোনরূপ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত তাদের গ্রেফতার অব্যাহত রাখবো। আওয়ামী লীগই আপনাকে গত পাঁচ বছর সন্ত্রাসী হামলা থেকে নিরাপদ রেখেছে এবং ভবিষ্যতেও রাখবে।
”
এর আগে গত ২৩ জুলাই এক জনসভায় জয় আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগের জয়ের বিষয়ে আশাবাদ ব্যাক্ত করে বলেছিলেন, “আমার কাছে তথ্য আছে আওয়ামী লীগ আগামীবার আবার ক্ষমতায় আসবে। বিএনপির মিথ্যা প্রচার মোকাবেলা করতেই হবে। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।