পাকিস্তানে নারী শিক্ষার দাবিতে আন্দোলনরত কিশোরি মালালা ইউসুফজাইর লেখা আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘আই অ্যাম মালালা’ পাকিস্তানের বেসরকারি স্কুলগুলোতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাকিস্তান ও ইসলামবিদ্বেষী বক্তব্য থাকার কারণে বইটি সেদেশের বেসরকারি স্কুলগুলোতে পড়ানো হবে না বলে জানিয়েছেন একজন পদস্থ কর্মকর্তা। দেশের দেড় লক্ষাধিক বেসরকারি স্কুলের প্রতিনিধিত্বকারী অল পাকিস্তান প্রাইভেট স্কুলস ফেডারেশন গতকাল রবিবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘আই এম মালালা’ বইটি পড়লে শিক্ষার্থীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এ বইয়ে মালালা ইসলামের প্রতি পুরোপুরি শ্রদ্ধাশীল নয় বলে প্রকাশ পেয়েছে বলে তারা মনে করছেন।
তাই স্কুলের পাঠ্যসূচিতে এ বই অন্তর্ভুক্ত করা হবে না বা স্কুলের লাইব্রেরিতেও এটি রাখা হবে না।
এদিকে, সরকার এ বইয়ের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করলেও সরকারি স্কুলের পাঠ্যসূচিতে এটি অন্তর্ভুক্ত করার কোনো পরিকল্পনা করেনি। ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট মির্জা কাশিফ বলেছেন, ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বইটি পর্যালোচনার কথা ভাবা হয়েছিল। এরপর আমরা সেটি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি, এটা আমাদের শিশু, বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী নয়।
তিনি বলেন, পাকিস্তান একটি আদর্শভিত্তিক রাষ্ট্র।
এর আদর্শ হচ্ছে ইসলাম। এ বইটিতে অনেক ধরনের বক্তব্য রয়েছে, যা আমাদের মূল্যবোধের পরিপন্থী।
কাশিফ বলেন, পাকিস্তানের ২৫ মিলিয়ন শিক্ষার্থী বেসরকারি স্কুলে পড়াশোনা করে। মালালা বাক-স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে সালমান রুশদির পক্ষ নিয়েছে। এ ছাড়া নবী করিম সা.-এর কথা উল্লেখ করতে গিয়ে ‘সা.’এর ভুল ব্যাখ্যা করেছে।
তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে এ বইয়ের বেশির ভাগই মালালা নিজে লেখেনি। কারণ, এতে এমন অনেক ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে যখন মালালার জন্মই হয়নি।
উল্লেখ্য, বৃটেনে অবস্থানরত মালালার লেখা এই বইটি সম্প্রতি সারা বিশ্বে ব্যাপক আলোড়ন তোলে। মালালার সঙ্গে যৌথভাবে বইটির রচনায় সহযোগিতা করেছেন বৃটিশ সাংবাদিক ক্রিস্টিয়ানা ল্যাম্বে।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।