প্রযুক্তির দিক দিয়ে চীনের কথা আলাদা করে বলতে হয়। বিচিত্র স্থাপনা নির্মাণের দিক থেকেও পিছিয়ে নেই তারা। চীনে যে কয়টি বিচিত্র আকৃতির বাড়ি নির্মিত হয়েছে তার মধ্যে পিয়ানো হাউস একটি। চীনের অদ্ভুত বাড়িগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর্শনার্থী ছুটে যায় 'পিয়ানো হাউস' দেখতে। বাড়িটির বাইরের আদল পুরোপুরি পিয়ানোর মতো হওয়ায় এটিকে পিয়ানো হাউস বলে ডাকা হয়।
এই বিখ্যাত বাড়িটি নির্মাণের পেছনের কারিগরদের তালিকায় আছ চীনের হেফাই ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির আর্কিটেকচারাল ডিজাইন ফ্যাকাল্টির এক দল ছাত্র। বিচিত্র নকশার কারণেই শুধু বাড়িটি আকর্ষণীয় বাড়ির তালিকাতেও নাম লিখিয়ে নিয়েছে। ছাত্রদের নকশা করার কাজটি শেষ হওয়ার পর নির্মাণের দায়িত্ব ছিল একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানির। ডিজাইনার কোম্পানি নাম 'হুয়াই-নান ফ্যাঙ্কাই ডেকোরেশন প্রজেক্ট'। এই পিয়ানো হাউজসট রয়েছে, চীনের হুনাইনান শহরে।
এই শহরের সেরা বাড়ি হিসেবেও এটি খ্যাতি লাভ করেছে। বাড়ির ভেতরে দিকে সবকিছু সাজানো হয়েছে সংগীতপ্রেমীদের মন ভোলানোর জন্য। আর সে দিক থেকে বলা যায়, বাড়ির নকশাবিদরা পুরোপুরি সফল। পিয়ানো শ্রোতাদের জন্য ভেতরের হলরুমে ব্যবস্থা করা হয়েছে পিয়ানো শোনার জন্য অত্যাধুনিক আয়োজন। মূলত দালানটি বানানোই হয়েছে আশপাশের সংগীত কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য।
শুরুতে আবাসন ব্যবস্থা থাকায় ছাত্রদের কাছে এটি পিয়ানোর বাড়ি বলেই পরিচিতি পায়। এই অদ্ভুত আকৃতির বাড়িটির বাইরের দিকে নকশায় জুড়ে দেওয়া হয়েছে দুটি মিউজিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্ট, একটি ট্রান্সপারেন্ট ভায়োলিন। যার ভেতর থেকে দেখা যেত বাড়িটিকে এবং আরেকটি পিয়ানো। স্বচ্ছ কাচ দিয়ে পিয়ানোর মূল কাঠামোটি দাঁড় করানো হয়েছে। ভায়োলিনের কাঠের আদলটির কারণে হঠাৎ যে কেউ বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে যেতে পারেন, আসলেই এগুলো বাজে কিনা।
বস্তুত, এগুলো স্থাপনারই অংশ। সংগীতের জন্য সুর তোলার কাজটা তাদের নয়। প্রথম দিকে পিয়ানো হাউসের দর্শনার্থী বলতে শুধু সংগীত শিক্ষার্থীরা থাকলেও এখন আগ্রহী দর্শনার্থীদেরও ভিড় বাড়ছে। চীনের যত মিউজিক্যাল হাউস আছে তার মধ্যে এটিই এখন দর্শনার্থীদের ভিড়ে মুখরিত থাকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।