বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা ৮৪ ঘণ্টার হরতালের তৃতীয় দিনে বিএনপি, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরকর্মীরা ঢাকাসহ সারা দেশে জনসাধারণের মধ্যে ভীতি, আতঙ্ক ও ত্রাস সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে মিছিল, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
একই সঙ্গে দাবি করা হয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্কতা ও তাৎক্ষণিক তৎপরতায় তাদের সে অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
আজ বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকতা মো. মাহফুজুল হকের স্বাক্ষরিত এক প্রেসনোটে এই দাবি করা হয়।
প্রেসনোটে বলা হয়, হরতালের নামে নৈরাজ্য ও নাশকতার হাত থেকে সরকারি সম্পদ ও জনসাধারণের জানমাল রক্ষার্থে সরকার রাজধানীসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়।
প্রেসনোটে বলা হয়, কয়েকটি স্থানে হিংসাত্মক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের সমর্থক হরতালকারীদের প্রতিরোধ ও ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। হরতালের সময় দূরপাল্লার বাস চলাচল করেনি, তবে বিমান, ট্রেন, লঞ্চ এবং জেলা ও বিভাগীয় শহরে যান চলাচল, অফিস-আদালতসহ জীবনযাত্রা প্রায় স্বাভাবিক ছিল।
প্রেসনোটে দাবি করা হয়, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল, সরকারি সম্পদ ও জনসাধারণের জানমালের ক্ষতি, অর্থনীতি ধ্বংস ও দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত করতে যারা বিক্ষিপ্তভাবে সহিংস ও ধ্বংসাত্মক ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করছে, তদন্তপূর্বক দ্রুত সেসব দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় আনার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।