সত্য পথের অনুসন্ধানি
বিএনপির এমপিরা অদ্যকাল অবধি সংসদের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারে এবং যথারীতি সংসদের ভেতরে মিছিল করে যদিও সংসদের পারমিসে মিছিল করা আইনে নাই। আমার প্রশ্ন তারা ও কি অবৈধ সরকারে(তাদের ভাষায়) এমপি। তাহারা এখনো সচল হোক ডেট হোক রেড টেলিফোন ইউজ করে। প্রটোকল ইউজ করে এবং সব ধরণের ভাতা গাড়ির তেল নিয়ে থাকেন।
অথচ তাহার বলিতেছেন প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করিতে।
বিষয়টা কেমন ঘোলাটে হইল না?
বিএনপি ভালো করেই জানে যে নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমেই নির্বাচনকালীন সরকার হবে। তাই তারাও পদত্যাগ করছে না।
শুধু শুধু আমাদের কষ্ট দেয়ার জন্য হরতাল করছে মানুষ পুড়ছে।
মন্ত্রীদের পদত্যাগ পত্র নিয়ে তাহারা বলিলেন - ইহা পবিত্র সংবিধানের ক ধারার বরখেলাফ। তাহারা যদি সংবিধান এতই মানিবেন তাহলে - সংবিধানেতো আর তত্বাবধায়ক সরকার তথা অনির্বাচিত সরকারে কথা নাই।
যেটা নাই সেটা নিয়ে কথা বলাও কি বরখেলাপ নয়?
বিএনপির উচিত তাদের চাওয়াটা স্পষ্ট করা - একবার বলেন সংবিধানের ভেতর থেকে সমাধানের কথা আরেকবার বলেন নিরপেক্ষ অনির্বাচিত কাউকে দিয়ে সরকার পরিচালনা করার কথা।
প্রধানমন্ত্রী যদি রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ করেন তাহলে অন্য মন্ত্রীরা এমনিতেই পদশূন্য হয়ে যান সেই মুহূর্তে রাষ্ট্রপতি কি করবে রুটিন কাজ চালিয়ে যাবার জন্য?
সংবিধানে টেকনোক্রেট কাউকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দেয়ার বিধান নেই। সে ক্ষেত্রে বিএনপির দাবী নির্দলীয় নিরপেক্ষ এবং অনির্বাচিত ব্যক্তি কি রূপে নির্বাহী প্রধানমন্ত্রী হইবে সেটা বলছে না।
আবার প্রধানমন্ত্রী যদি সংসদ ভেঙ্গে দেবার কথা বলেন তাহলে আরেকটা সমস্যা হয় সেটা হলো- তখন নির্বাচিত ব্যক্তিদের নিয়ে যে নির্বাচন কালীন সর্বদলীয় সরকার গঠন করা যেত সেটার সম্ভাবনাও নষ্ট হয়ে যায়।
রায় পরবর্তীতে তত্ববাধায়ক পুনর্বহাল আর সম্ভব নয় সেটা বিএনপি নিশ্চয় বুঝে ফেলেছে।
খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টাদের যে কোন ভাবে নির্বাচিত করিয়ে আনার অভিপ্রায় দেখে সেটা নিশ্চয় সবাই বুঝে থাকবেন।
মন্ত্রীদের পদত্যাগ নিয়ে আমার লিখাটা পড়ে আসতে পারেন-www.shobdoneer.com/arshad/55274
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।