আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খালেদা জিয়ার ‘স্বেচ্ছায় কারাবরণ’


‘স্বেচ্ছায় কারাবরণ’ খালেদা জিয়ার নতুন কর্মসূচি। আন্দোলনে নতুন মাত্রা দিতে ১৮ দলীয় জোটনেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া যে কোন সময় এ ঘোষণা দেবেন বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রমতে, চলমান ৮৪ ঘণ্টার টানা হরতালের পরপরই নতুন কর্মসূচি হিসেবে এই স্বেচ্ছায় কারাবরণের ঘোষণার বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সুত্র বলছে, বেগম খালেদা জিয়াসহ বিএনপি এবং ১৮ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা জেলা পর্যায়ের কারাফটকে উপস্থিত হয়ে লিখিত আবেদনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কারা প্রধানের কাছে তাদেরকে কারাগারে আটক রাখার অনুরোধ জানাবেন। যদিও দেশের প্রচলিত আইনে আদালতের নির্দেশনা ছাড়া কাউকে কারাগারে আটক করা বা আটক রাখতে পারে না কারা কতৃপক্ষ।

তবু তারা এই আবেদন নিয়ে কারাফটকে যাবেন। স্বেচ্ছায় কারাবরণের আবেদন জানাবেন। সূত্র জানায়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির তিন সদস্য ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিষ্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ও এম কে আনোয়ার এবং দেশের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যবসায়ী নেতা আব্দুল আওয়াল মিন্টু ও বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসকে গ্রেফতার এবং সারাদেশের হাজার হাজার নেতাকর্মী বন্দী করা, হাসিনার পাতানো নির্বাচন তৎপরতা বন্ধ করা, সকল রাজবন্দীদের মুক্তি এবং মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে আন্দোলনের মূল দাবী নির্বাচনকালিন নির্দলীয় সরকার গঠনের দাবীতে নেতারা স্বেচ্ছায় করাবরণ করতে যাচ্ছেন। বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, একটি স্বাধীন দেশে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে গিয়ে ১৮ দলের নেতারা যেভাবে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তার চেয়ে স্বেচ্ছায় কারাবরণ অনেক ভাল। তাদের ভাষায়, দেশের ১৬ কোটি মানুষ অজানা শঙ্কায় সম্পূর্ণ নিরাপত্তাহীন সময় অতিবাহিত করছে।

বিরোধীদলের কোন নেতাকর্মী, নারী পূরুষ, ছাত্র যুবক, শ্রমিক, দিনমজুর কেউই আজ ঘরে থাকতে পারছেন না। পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে দেশের বুদ্ধিজীবিদেরও। সরকার আসলেই দেশটাকেই কারাগার বানাতে চেষ্টা করছে। এজন্যে নেতা-কর্মীরা স্বেচ্ছায় কারাবরণ করতে চায়। সুত্রের দাবি, বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে অনেকটা গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।

তার বাসায় নেতা-কর্মীরা প্রবেশ করতে পারছেন না। তার বাসার পানির সরবরাহ মাঝে মধ্যে বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া রয়েছে সরকার দলীয় নেতাদের হুমকী ধামকী। তারা বলছেন, আন্দোলন বন্ধ না করলে বেগম জিয়াসহ সকল রাজনৈতিক নেতাকেই গ্রেফতার করা হবে। তাদেরকে জেলে রেখে করা হবে একদলীয় নির্বাচন।

এই পরিস্থিতি তাঁদেরকে স্বেচ্ছায় কারাবরণে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন নেতারা। তথ্যসূত্রঃ-View this link
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.