আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে মন্ত্রিপরিষদ পুনর্গঠিত হবে

প্রধানমন্ত্রী আমাদের আগে থেকে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। তাই আমরা দিয়েছি। এখন দেখি তিনি কার পদত্যাগপত্র রাখেন, কারটা ফিরিয়ে দেন। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে মন্ত্রিপরিষদ পুনর্গঠিত হবে। সংবিধানের কোথাও লেখা নেই যে মন্ত্রীরা পদত্যাগপত্র জমা দিলেই পদ শূন্য হয়ে যাবে।

এ ছাড়া সংসদ বহাল থাকলে উত্তরাধিকারী না পাওয়া পর্যন্ত বর্তমান প্রধানমন্ত্রীই দায়িত্ব পালন করবেন।

মঙ্গলবার মাছরাঙা টেলিভিশনের টকশো 'সাম্প্রতিক'-এ পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পরও মন্ত্রীদের দায়িত্ব পালন প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এ কথা বলেন। মামুনুর রহমান খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইনাম আহমেদ চৌধুরী। মন্ত্রী বলেন, সংসদ থাকলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় থাকবেন। আর যেহেতু সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ মহাজোট।

মহাজোট যাকে মনোনয়ন দেবে তিনিই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন। তিনি আবার শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনর্নিয়োগও করতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী আবার একটা মন্ত্রিসভা গঠন করতে পারবেন। তবে আমি কোনো বিতর্কে জড়াতে চাচ্ছি না। সংবিধানে লেখা আছে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে রাষ্ট্রপতি মন্ত্রীদের নিয়োগ দেন।

সে হিসেবে নিয়োগকর্তা হিসেবে রাষ্ট্রপতিই মন্ত্রিত্বের পদ থেকে খারিজ করবেন। এখন প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রপতির কাছে যেতে হবে। তিনি বলেন, অনেক সময় সংবিধান এবং আইনের বিভিন্ন ধরনের ব্যাখ্যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। আমি মনে করি পদত্যাগ নিয়ে বিতর্কের কোনো অবকাশ নেই। পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রীকে দিলে তখনই পদ শূন্য হয়ে যাবে এমন কথা সংবিধানের কোথাও লেখা নেই।

মন্ত্রীরা সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী যতক্ষণ রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ না করছেন ততক্ষণ পর্যন্ত আমার পদ শূন্য হচ্ছে না। নিয়মানুযায়ী রাষ্ট্রপতির আদেশ না পাওয়া পর্যন্ত দাফতরিক কাজ চালিয়ে যাওয়া আমার দায়িত্ব। তারপরও যদি কেউ মনে করেন এখানে সংবিধান লঙ্ঘন হচ্ছে তাহলে কালকেই তারা আদালতে গিয়ে আদালতের ব্যাখ্যা নিতে পারেন।

হাসানুল হক ইনু বলেন, কোনো মন্ত্রিপরিষদ সদস্য নিজের ইচ্ছায় মন্ত্রিপরিষদে থাকতে না চাইলে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেবেন।

রাষ্ট্রপতির সেটা বিবেচনা করার সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী যে মুহূর্তে তার হাতে দেবেন রাষ্ট্রপতিকে তা গ্রহণ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগপত্র পেশ করতে বিলম্ব করলে ওই সদস্য পদত্যাগপত্র ছুড়ে দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারেন। তবে এটা দায়িত্বশীল নাগরিকের আচরণ নয়। আমি থাকতে চাইছি না।

কিন্তু যতক্ষণ রাষ্ট্রপতি আমার পদত্যাগ গ্রহণ না করছেন ততক্ষণ দায়িত্বের সঙ্গে দাফতরিক দায়িত্ব পালন করা আমার কর্তব্য। আবার প্রধানমন্ত্রী কোনো মন্ত্রীকে পদত্যাগের অনুরোধ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী পুনর্বিবেচনার জন্য পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে বিলম্বেও দিতে পারেন। এই ক্ষেত্রে কোনো মন্ত্রী পদত্যাগপত্র না দিলে রাষ্ট্রপতিকে ওই মন্ত্রীর নিয়োগের অবসান ঘটানোর অনুরোধ করতে পারবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ পেলে রাষ্ট্রপতি ব্যবস্থা নেবেন।

এখানে প্রধানমন্ত্রী আমাদের পদত্যাগপত্র জমা দিতে বলেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার প্রসঙ্গ টেনে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে সর্বদলীয় সরকারটা বড় কথা নয়। বিতর্কটা হচ্ছে সর্বদলীয় সরকার নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখবে না। প্রধানমন্ত্রী যা ইচ্ছা তাই করতে পারবেন। অনেকে বলছেন হিটলারের চেয়েও বেশি ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর।

এ কথাটা ঠিক নয়। মন্ত্রিসভার একটা রুলস অব বিজনেস আছে। প্রধানমন্ত্রী একজন মন্ত্রীকে যা ইচ্ছা তাই নির্দেশ দিতে পারেন না। আমিও যা ইচ্ছা তাই সচিবকে বলতে পারি না। রুলস অব বিজনেসে আমার ক্ষমতার পরিধি বলা আছে।

মন্ত্রিসভায় আলোচ্য সূচির ওপর প্রত্যেকে মতামত দেয়। প্রধানমন্ত্রী ভোট দিতে নিষেধ করতে পারেন না। সর্বদলীয় মন্ত্রিসভায় বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা থাকলে তারা কথা বলতে পারবেন। এ ছাড়া যে মুহূর্তে নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে সেই মুহূর্ত থেকে আমি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের অধীনে চলে যাব। তখন দায়িত্বে থাকা কোনো মন্ত্রী নির্বাচনী প্রচারণায় গেলে তার পতাকা নামানো থাকবে, সরকারি স্থাপনা ব্যবহার করতে পারবেন না।

এ ছাড়া আরপিওতে পরিষ্কার লেখা আছে কোনো সরকারি কর্মকর্তাও নির্বাচনে অযাচিত হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে চলবে প্রশাসন। অর্থাৎ নির্বাচনকালীন সরকার হবে ক্ষমতাহীন ঠুঁটো জগন্নাথ।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.