আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নির্দলীয় সরকার প্রশ্নে আপস নয়, আন্দোলন

বিএনপি চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন,

নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন প্রশ্নে কোনো রকম আপসের সুযোগ নেই। আপস করা মানে অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া। অন্যায়কে মেনে নেওয়া। আমরা কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দিতে পারি না। যে কোনো মূল্যে এই জুলুমবাজ ও অত্যাচারী সরকারকে বিদায় করে জনগণের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করবই ইনশাল্লাহ।

গতকাল সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশিষ্ট সাংবাদিকদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় বেগম খালেদা জিয়া এ কথা বলেন। সন্ধ্যা ৫টা ৫৮ মিনিটে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আসেন বেগম খালেদা জিয়া। জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে পৌঁছলে ক্লাব সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ তাকে স্বাগত জানান। মতবিনিময় অনুষ্ঠানে নিউজ টুডে সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ, নয়াদিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, চেয়ারপারসনের প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি খন্দকার মনিরুল আলম, ডিইউজের সাবেক সভাপতি এলাহী নেওয়াজ খান সাজু, সাবেক সভাপতি আবদুস শহিদ, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাকের হোসাইন, নূরুল হাসান খান, আবু সালেহ, বাসেত মজুমদার, মাহমুদ শফিক, কাদের গনি চৌধুরী, জিয়াউর রহমান খান, জাস্ট নিউজ সম্পাদক মুশফিকুল ফজল আনসারী, আমিরুল ইসলাম কাগজী, আবদুল আউয়াল ঠাকুর, ইলিয়াস খান, মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, এ কে এম মহসিন, শামসুদ্দিন চারু, সৈয়দ লুৎফুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে বুদ্ধিজীবী ড. পিয়াস করিম, সাংবাদিক শফিক রেহমান ও মাহফুজউল্লাহ এসে যোগ দেন।

বেগম খালেদা জিয়া বলেন, আমরা ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন করছি। এ সরকারকে বিদায় দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা অতীতে আমাদের সঙ্গে আন্দোলনে ছিলেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন আশা রাখি। তিনি বলেন, আমার পদ-পদবির কোনো লোভ নেই। অতীতে যখন রাজনীতি শুরু করেছিলাম তখনো পদ-পদবির কথা চিন্তা করিনি।

গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করাই আমার লক্ষ্য। বিএনপি চেয়ারপারসন মরহুম সাংবাদিক গিয়াস কামাল চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন এবং অতীতে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তার অবদান ও স্মৃতির কথা তুলে ধরেন। জাতীয় প্রেসক্লাবকে ক্লাবের সদস্যরা তাদের সেকেন্ড হোম বলে অভিহিত করলে বিরোধীদলীয় নেতাও প্রেসক্লাবের সঙ্গে তাঁর বিভিন্ন স্মৃতির কথা, বিশেষ করে জাতির বিভিন্ন ক্রান্তি লগ্নে তাঁর প্রেসক্লাবে আগমণের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই প্রেসক্লাব আসলে আমার নিজেরও সেকেন্ড হোম। এরআগে বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, দেশের ১৬ কোটি মানুষ আজ আপনার দিকে তাকিয়ে আছে।

এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করতে হবে। জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি বলেন, দেশ এখন এক গভীর সংকটে নিমজ্জিত। বিরোধীদলের আন্দোলন সারাদেশে উত্তাল পরিস্থিতি সৃষ্টি করলেও ঢাকায় অনেকটা নিষ্ক্রিয়। কাজেই আন্দোলনের সূতিকাগার রাজধানী ঢাকায় নেতারা সক্রিয় না হলে এ আন্দোলনে সফলতা অর্জন করা যাবেনা। জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ বলেন, দেশ আজ গভীর সংকটে।

আর এই সংকট তৈরি করেছেন শেখ হাসিনা। এলাহী নেওয়াজ খান সাজু বলেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা তাদের কেন্দ ীয় নেতাদের মাঠে দেখতে চায়। এম আবদুল্লাহ বলেন, হরতালের মধ্যে আমরা রাজপথে ছিলাম,আছি। সাংবাদিক ইউনিয়ন এ আন্দোলন চালিয়ে যাবে। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন- বাকের হোসাইন, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, খন্দকার মনিরুল আলম প্রমুখ।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.