ওরা দিনের আধারে ঘুমায় ওরা রাতের আলোতে হাটে, ইটের দেয়ালে মাথা রেখে ওরা হৃদয় খুলে হাসে । ওরা ভালোবাসা বিলিয়ে যায় ,ওরা কষ্ট লুকিয়ে বাচে ।
মানুষের জীবন এখন মুলত দুটা । রিয়েল লাইফ এবং ভার্চুয়াল লাইফ (ওরফে ফেসবুক লাইফ) । , রিয়েল লাইফে যেমন সুইসাইড খাওয়ার সুযোগ আছে ঠিক তেমনি ভার্চুয়াল লাইফেও সুইসাইড খাওয়ার সুযোগ আছে ।
কিভাবে? খুব সহজ , যারা ফেসবুক নিয়মিত ব্যাবহার করেন তারা একটা না একটা সময় আইডি ডিয়েক্টিভেটের মাধ্যমে ভার্চুয়াল লাইফে সুইসাইড এটেম্পট নেন । ঠিক বাস্তব জীবনের মত। মনে হয়, ধুর অনেক হলো বেচে থাকা,আর ভাল্লাগছেনা ,এইবার জীবনটা শেষ করে ফেলি । তারপর বিষ কিংবা দড়ি । বেশি ভাগ ক্ষেত্রেই বিষটাই প্রধান সম্বল ।
বিষ খাওয়ার সাথে সাথে উপলব্ধি হয় না ভাই আমার জীবন অনেক মুল্যবান , আমাকে বেচে থাকতে হবে । ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার পর যখন পাকস্থলী ওয়াস করা হয় তখন আরও সহীহভাবে টের পাওয়া যায় সুইসাইডের মজা ।
ঠিক তেমনি ভার্চুয়াল লাইফে একবার ডালপালা গজিয়ে গেলে মাঝে মাঝে মনে হয় সুইসাইড খাই ভার্চুয়াল থেকে ,ভাল্লাগছেনা ফেসবুকিং, কিন্তু আইডি ডিয়েক্টিভেট করার কিছু ঘণ্টা পর মনে হয় পেটটা গুড়গুড় করিতেছে একটু ফেবুতে ঢুকিলে গুড়গুড়ানী উপশম হইত , কেমন জানি হাঁসফাঁস লাগিতেছে । পরান শান্তনা খোজে “এটাও অনেক দরকারি” । , তবে হ্যা বাস্তবজীবনে যেমন বিতৃষ্ণা আসে তেমনি এই ভার্চুয়াল লাইফেও আসে ।
কিন্তু ভার্চুয়ালে একটু বেশিই আসে ।
বাংলাদেশ নামক এই রাষ্ট্রটিতে আপনি যদি দৈনিক দুটি করে স্ট্যাটাস আপডেট করেন তাইলে লোকজন বলবে , “কি ব্যাপাআর আজকাল ফেসবুকে দেখাই যায় না,ব্যাপক পড়াশোনা করছেন বোধহয়, নাকি প্রেমিকারে লই ব্যস্ত ?” আবার যদি দৈনিক দুটির বেশি স্ট্যাটাস আপডেট করেন তাইলে বলবে “ওই মিয়া সারাদিন ফেসবুকে কি করেন? কাম কাজ নাই নাকি?”
তাই এই রাস্ট্রে ফেবু চালনা করতে গেলে বিতৃষ্ণা আসিবেই আসিবে এবং উহা আপনাকে ভার্চুয়াল লাইফে সুইসাইডের পথে ধাবিত করিবে । আপনি সুইসাইড করিবেন বটে কিন্তু মরিবেন না । “ধুর ফেবু ছাড়া চলে নাকি ,আপডেট থাকিতে হইবে না যুগের সহিত ?” এই ভাবিয়া নিজেকে শান্তনা দিয়া পুনরায় নিজের পাসওয়ার্ড দিয়া ঠাশ করিয়া এন্টার বাটনে ঘুসি মারিয়া তালা খুলিয়া ফেসবুকে ঢুকিবেন ।
একদিন আগে ৫ম বারের মত ফেবু সুইসাইড খাইতে যাইয়া না মরিয়া এই অধমের এই হল উপলব্ধি ।
বড় কঠিন উপলব্ধি বাহে .....................
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।